আমেরিকায় জাহাজের ধাক্কায় ধসে পড়ল সেতু, বহু হতাহতের শঙ্কা
অনলাইন নিউজঃ আমেরিকার মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে জাহাজের ধাক্কায় প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্রান্সিস স্কট কি সেতুর একাংশ ধসে পড়েছে। ওই সময়ে সেতুর উপর থাকা অন্তত সাত ব্যক্তি পানিতে পড়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাল্টিমোর সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র কেভিন কার্টরাইট রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি যানবাহন এবং সম্ভবত একটি ট্রাক্টর-ট্রেলার মতো বড় একটি যানসহ ২০ জনের মতো মানুষ নদীতে তলিয়ে থাকতে পারে। তাদের উদ্ধারে সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। এটা একটা বড় ঘটনা।
স্থানীয় সময় রাত ১টা ২৬ মিনিটে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে বাল্টিমোর পুলিশ জানিয়েছে তারা স্থানীয় সময় রাত ১ টা ৩৫ মিনিটে ঘটনাটি জানতে পারে।
ইউটিউবে দুর্ঘটনার সময়ের একটি লাইভ ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, একটি জাহাজ সেতুটিতে আঘাত করার পর সেটির স্প্যানগুলির একটি বড় অংশ ধসে নিচের প্যাটাপসকো নদীতে গিয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এও জাহাজের ধাক্কা এবং সেতু ধসে পড়ার কিছু ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।
এলএসইজি এর শিপ ট্রেকিং ডেটা অনুযায়ী, কি ব্রিজের যে অংশ ধসে পড়েছে সেখানে ঘটনার সময় সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ ‘দ্য ডালি’ ছিল।
মঙ্গলবারের বিপর্যয়টি আমেরিকার ইতিহাসে ২০০৭ সালের পর থেকে সবচেয়ে বড় সেতু ধসের ঘটনা হতে যাচ্ছে। ২০০৭ সালে মিনিয়াপোলিসের আই-৩৫ডাব্লিউ সেতুটি মিসিসিপি নদীতে ধসে পড়ে ১৩ জন নিহত হয়েছিল।
মেরিল্যান্ডের গভর্নর ওয়েস মুর জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় ফেডারেল সংস্থাকে দ্রুত মোতায়েন করার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। বাল্টিমোরে এফবিআই জানিয়েছে, তাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে বাল্টিমোর পুলিশ কমিশনার রিচার্ড ওয়ারলে বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।’
তবে ওই ঘটনার পর বাল্টিমোর পোর্টে এখনো প্রায় ৪০ টার বেশি পণ্যবাহী জাহাজ আটকা পড়ে আছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বাল্টিমোরের পোর্ট কতৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ধসে যাওয়া সেতুটি লেখক ফ্রান্সিস স্কট কি এর নামে নামকরণ করা হয়। ওই সেতুটি ১৯৭৭ সালে চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।সূত্রঃইনডিপেনডেন্ট