অন্যের উপকারে মরনেও সুখ!
মো: আব্বাস উদ্দিন: আমরা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের অবহেলিত রাজাপুরবাসী। ডিজিটাল বাংলাদেশ এর নাম শুনেছি বহুবার। দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র প্রত্যক্ষ করেছি স্বনামধণ্য মিডিয়ার কল্যাণে। তবে আমাদের রাজাপুরবাসীর নসিবে আজও ডিজিটাল বাংলাদেশ বা আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি।
সেই প্রাচীনকালের মতো অঝোপাড়া গ্রামের অবহেলিত মানুষগুলোই রয়ে গেলাম! আমরা কি শিক্ষাদিক্ষায় অন্য জেলাগুলো থেকে পিছিয়ে আছি? আমাদের কি গুনী জনপ্রতিনিধি নেই? এমন প্রশ্ন আমাদের জাগ্রত বিবেকের কাছে রাখলাম।
রাজাপুরের ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু রাস্তাতেই হাটু সমান পানি ভাসমান, বিভিন্ন জায়গায় ঢালু, বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্কুল-কলেজ পড়ুয়াসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের চলাচলের প্রধান অন্তরায়্গুেএসব রাস্লোতাগুলো।
জনসাধারণের দূর্দশারকথা বিবেচনা করে আমরা এলাকার যুবসমাজ মিলে ছোট ছোট তিনটি সাঁকো তৈরি করেছি। গুরুজনদের সার্বিক দিকনির্দেশনা নিয়ে ছোট এ কাজটি সেচ্ছায় করেছি। কয়েক বস্তা বালু, ইট, গাছ দিয়ে মোটামুটিভাবে চলাচল করা যায় সে জন্য আপ্রান চেষ্টা চালিয়েছি। আমাদের এই দুঃখ-দুর্দশার শেষ কোথায় তা একমাত্র ঐ উপরওয়ালা জানে!
তবুও তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি, যারা সমাজসেবার মানুসিকতা নিয়ে মেম্বার চেয়ারম্যান হয়েছেন। আপনার অনেক ভালো কাজ করছেন। আপনাদের সুনাম রয়েছে।েআপনাদের মানবতায় আমরা আমরা আগামীর সুফল পাওয়ার জন্য আশার আলো দেখছি। আমাদের ভগ্নদশা রাস্তাগুলোর দিকে একচু দৃষ্টি দিন। আমরা যুবসমাজ বিস্বাস করি আমাদের আবেদন আপনারা অগ্রাহ্য করবেন না।