সীতাকুন্ডে বেহাল দশা সড়কের,মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রী সাধারণ
অনলাইন নিউজ: চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলার বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা সড়কের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। ইট-সুরকি উঠে রাস্তা ভেঙে প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ।
বিভিন্ন স্থানে ঢালাইয়ের রড উঠে মাটি বের হয়ে গেছে। ভারি যানবাহনে সৃষ্ট ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত পানিতে ডুবে থাকে। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যাত্রী সাধারণ।
জানা যায়, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পশ্চিম দিকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত এই সড়কের অবস্থান। কয়েক বছর যাবত এখানে গড়ে উঠেছে এলপিজি গ্যাস ফ্যাক্টরি।
এ সড়কটি দিয়ে গ্যাস ফ্যাক্টরির বড় বড় কাভার্ড ভ্যানসহ নানা ধরণের যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া এই রাস্তা ব্যবহার করে ৪-৫ গ্রামের মানুষ।
সরজমিনে দেখা গেছে, এ সড়কের বেশিরভাগ স্থানে কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় ইট বের হয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: সালাউদ্দিন বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন সড়কটি দিয়ে। সড়কটির বেহালদশার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রতিদিন মানুষ দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে।
মান্দারীটোলা গ্রামের অটোরিক্সা চালক হারুনুর রুশিদ বলেন, এই সড়কে ছোট-বড় যানবাহন গর্তে পড়ে প্রায়ই উল্টে যায়। গ্যাস ফ্যাক্টরিগুলো নির্মিত হওয়ার পর থেকে রাস্তাটির এমন অবস্থা। গর্ভবতী ও অসুস্থ রোগীদের দুর্ভোগ দেখে কান্না আসে। ৫ মিনিটের পথ যেতে লাগে আধা ঘন্টা।
কাভার্ড ভ্যান চালক বেলাল উদ্দিন বলেন, খানাখন্দে চাকা পড়লে গাড়ি তোলা দূঃস্কর হয়ে যায়। অনেক সময় গাড়ি উল্টে যায়। এই অবস্থায় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়।
বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদাকাতুল্লাহ মিয়াজী বলেন, সড়কটির দুই ভাগে টেন্ডার হয়েছে।
কাজ শুরু করার পর করোনায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। লকডাউন খুলে দিলে আবারও কাজ শুরু হয়। কিন্তু বর্ষার কারনে কাজ আবারও বন্ধ হয়ে যায়। বর্ষার পর কাজ শুরু হবে বলে শুনেছি। এখন রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। জনগন কষ্টে আছে।
তথ্যসূত্র:দৈনিক যুগান্তর