নিরপেক্ষ তদন্ত চাইলেন লালমোহনের অসহায় জেলে সুমন বিশ্বাস
জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনের বদরপুর ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল মজুদ করা মামলায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইলেন সুমন বিশ্বাষ। চলতি বছরের ৮ এপ্রিল বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের নিকটে ভিজিএফের চাল উদ্ধার করে লালমোহন থানা পুলিশ।
১১ এপ্রিল চারজনকে বিবাদী করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়, মামলা নং-১১। মামলার ১নং আসামি সুমন বিশ্বাষ সাংবাদিকদের নিকট ঘটনার বর্ননা তুলে ধরে নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ ও নিরপরাধ দাবি করেন।
তিনি বলেন আমি অতি দরিদ্র একজন কার্ডধারী জেলে, আমার কার্ড নং ১০০৯৫৪০০১৬০০২৩১৯ আমার স্ত্রী ভিজিএফের সুবিধাভোগী যার কার্ড নং-১৩৮, রায়রাবাদ,টিটিয়া,বদরপুর ইউনিয়ন।
আমি ও আমার স্ত্রীর কার্ডের চাল নিয়মিত উত্তোলন করি। আমার স্ত্রীর দু’ ভাই ছিদ্দিক যার জেলে কার্ড নং ১০০৯৫৪০০১৬০০২৩১৯ ও জামাল যার জেলে কার্ড নং ১০০৯৫৪০০১৬০০০৫২২ দেবীরচর, বদরপুর ইউনিয়ন।
আমার স্ত্রীর দু’ ভাইয়ের ঘর মেরামত করায় তাদের উত্তোলনকৃত চালের বস্তা আমার বাসায় সংরক্ষণ করে। আমার ও স্ত্রীসহ তাঁর দু’ভাইয়ের মোট ৯ বস্তা ৩১৫ কেজি ও আমাদের ক্রয়কৃত চালসহ গত ৮ এপ্রিল পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আমরা প্রকৃত ঘটনা বলা সত্ত্বেও কেউ কর্ণপাত করেনি। আমাকে ১ নং আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি একজন দরিদ্র জেলে, নদীতে মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করি। আমি না-কি কালোবাজারির উদ্দেশ্য চাল মজুদ করেছি,
এদিকে সুমন বিশ্বাষের স্ত্রীর দু’ভাই তাদের উত্তোলনকৃত জেলে কার্ডের চাল সুমন বিশ্বাষের বাসায় সংরক্ষণ করে রেখেছেন বলে সত্যতা স্বীকার করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার ২ নং বিবাদী রফিকুল ইসলামের বাসায় ১২০ কেজি চাল পাওয়া গেছে, ৩ নং বিবাদী ইউপি সদস্য ওমর ফারুক ও ৪ নং বিবাদী ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ তালুকদার উল্লেখিত আসামীদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজসে কালোবাজারির জন্য অসৎ উদ্দেশ্য চাল মজুদ করেছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় জেলেরা জানান, সুমন বিশ্বাষ কালোবাজারির উদ্দেশ্য যদি চাল মজুদ করে থাকে, তাহলে সকল আসামির বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কালোবাজারির উদ্দেশ্য কেন শুধু সুমন বিশ্বাষকে ফাসানো হবে।একটি প্রভাবশালী মহল শুধু সুমন বিশ্বাষকে রেখে অন্যান্য আসামিদের বাদ দিয়ে মামলার চার্জশিট দেওয়ার পাঁয়তারা করছে বলে জানা গেছে।
মামলার বাদী লালমোহন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ট্যাগ অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সূত্রে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই ও মজুদকৃত চাল উদ্ধার করি, এখন মজুদকৃত চাল কীভাবে বাসায় সংরক্ষণ করা হয়েছে সেটি পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মামলার ১ নং স্বাক্ষী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অপূর্ব দাস বলেন, সরকারি চাল মজুদ করা, ক্রয় করা আইনত দন্ডনীয় “এখন নিজের প্রাপ্য উত্তোলনকৃত চালের বেশি যদি কারও বাসায় পাওয়া যায় সে চাল কিভাবে বাসায় রাখা হয়েছে সেটি পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) বশির আহমেদ বলেন, মামলার তদন্ত চলমান, আমি উদ্বর্তন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।