বখাটে তামিমের উৎপাত, স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা
অনলাইন নিউজ: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় বখাটের উৎপাত সইতে না পেরে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রী ঘুমের ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
হোটেল ব্যবসায়ী রুহুল মুন্সির মেয়ে নিহত রুকাইয়া রুপা (১৫) উপজেলার ভান্ডারিয়া বন্দর সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
নিহতের বাবা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিগত কয়েক মাস ধরে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত ভান্ডারিয়া গ্রামের মঞ্জু খানের ছেলে তামিম খান (১৯)। রাজি না হওয়ায় রুপার একটি ছবি এডিট করে তা বিভিন্ন জনের মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেয় তামিম।
শুক্রবার বিকেলে এক সহপাঠীর সাথে প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে পুনরায় পথ আটকে রুপাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে তামিম। তার সাথে প্রেম না করলে এডিট করা ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয় তামিম।
পরে বাড়িতে ফিরে রুপা বিষয়টি তার মাকে জানায়। তার মা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে রুপার বাবাকে জানালে রাতে বাড়ি ফিরে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান তিনি। রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে রুপাকে ডাকতে পাঠালে তার কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান।
অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া না পাওয়ায় ঘরের দড়জা ভেঙে ফেলেন। এ সময় রুপাকে ঘরের মধ্যে অচেতন অবস্থায় পান তারা।
তাৎক্ষণিকভাবে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না করে ডাক্তাররা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুপার মৃত্যু হয়।
এদিকে রাতেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে বলে জানান রুপার বাবা, তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তু তামিমকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে রুপাকে উত্ত্যক্তকারী তামিমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে রুপার স্বজন ও সহপাঠীরা।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাকসুদুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি।