ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া
অনলাইন নিউজঃ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়া বন্ধ রেখেছে মালয়েশিয়া। তবে চলতি মাসেই কর্মী নিয়োগের এ ঘোষণা দিতে পারে দেশটি।প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত অক্টোবরে এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির সরকারের।
এরইমধ্যে দুই দেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের একাধিক বৈঠক হয়েছে।আশা করছি শিগগির বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ চালু হবে।ইতিমধ্যে নানা কুটনৈতিক তৎপরতার পর এবার বাংলাদেশের জন্য সুখবর তৈরি হলো।
বাংলাদেশ থেকে আগামী ডিসম্বের থেকে শ্রমিক নেবে দেশটি।বুধবার (৬ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারানের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক যাওয়ার বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে।ডিসেম্বরেই কর্মী পাঠাতে আগ্রহী বাংলাদেশ।ডিসেম্বরেই যেন শ্রমিক যেতে পারে এজন্য চলতি মাসে মালয়েশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছেন।
বৈঠকে মন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, যুগ্ম-সচিব ফজলুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বিএমইটির পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, হাইকমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম এবং কাউন্সিলর (শ্রম) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, এবার নিয়োগ চালু হলে স্বল্প ব্যয়ে অভিবাসনের সুযোগ উন্মোচন করবে।সেক্ষেত্রে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কোনো দুর্নীতি বা অনিয়মের সুযোগ থাকবে না।অনলাইনেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
২০১২ সালে জিটুজি পদ্ধতিতে কর্মী পাঠাতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ।২০১৬ সালে ১০টি বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিকে জিটুজি প্লাসের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।তাদের মাধ্যমে ২০১৭ সালে ৯৯ হাজার ৭৮৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়া যান।
আর ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজার ৮১৯ জন শ্রমিক পাঠিয়েছে এ ১০ রিক্রুটিং এজেন্সি। অথচ জিটুজি প্রক্রিয়ায় কর্মীদের কাছ থেকে জনপ্রতি সাড়ে ৩৭ হাজার টাকা নেয়ার কথা।
হঠাৎ করে কর্মী নেয়া বন্ধের সিদ্ধান্তে ১ সেপ্টেম্বরের আগে কাজের অনুমতি পাওয়া ৭০ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়ায় গমনে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল হলেও গত ৩০ আগস্টের আগে যেসব বাংলাদেশি কাজের অনুমতিপত্র পেয়েছেন, তাদের সবাই মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন।