তালতলীতে র্যাব পরিচয়ে গৃহবধুকে অপহরণ
হাফিজুর রহমান, তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ বরগুনার তালতলীতে গৃহবধুকে পিত্রালয় থেকে র্যাব পরিচয় দিয়ে দিবালোকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন তালতলী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধু অন্তরার পিতা বিনোদ চন্দ্র বেপারী জানান, উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন তালতলী পাড়া এলাকার বিনোদ চন্দ্র বেপারীর মেয়ে অন্তরার সাথে এক বছর পূর্বে বিয়ে হয় একই উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়অংকুজানপাড়া গ্রামের অতুল চন্দ্র হাওলাদারের পুত্র লক্ষ্মনের সাথে।
বিয়ের বছর পার হতে না হতেই উভয় পরিবারের মধ্যে দেখা দেয় অন্তকলহ। এর পরেও অন্তরা তার স্বামী লক্ষ্মনের সাথে সম্পর্ক রেখে শ^শুর বাড়ীতে অবস্থান করছিলো। অন্তরার পিতা বিনোদ চন্দ্র বেপারী ও লক্ষ্মনের পিতা অতুল চন্দ্র হাওলাদারের সাথে মিলমিশ করিয়ে দেয়ার জন্য ০১৬৩৮৮৭৫৫৪৩ মোবাইল নম্বর দিয়ে র্যাব পরিচয়ে লক্ষ্মন ও তার স্ত্রী অন্তরার সাথে কয়েক বার কথা বলে বিনোদ চন্দ্র বেপারীর বাড়ীতে আসতে বলেন।
অন্তরা তার স্বামীকে নিয়ে বুধবার সকালে পিত্রালয়ে এসে ঐ কথিত র্যাবের মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে জানায়। ঐ দিনই বেলা ১১টার দিকে র্যাবের স্টিকার লাগানো কালো একটি মাইক্রো এসে উপজেলা পরিষদের ভিতরে থেমে সিভিল পোষাকে ৩জন লোক বিনোদ চন্দ্র বেপারীর বাড়ীতে গিয়ে র্যাব পরিচয় দেয়।
কথিত ওই র্যাব দুই বেয়াইকে মিলিয়ে দেয়ার জন্য অতুল চন্দ্র হাওলাদারের বাড়ী অংকুজানপাড়া যাওয়ার কথা বলে অন্তরা ও লক্ষ্মনকে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়।
উপজেলা পরিষদ থেকে গাড়ীটি বের হয়ে অংকুজানপাড়া না গিয়ে আমতলীর উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মানিকঝুড়ি নামক স্থানে লক্ষ্মনকে নামিয়ে দিয়ে অন্তরাকে নিয়ে যায়। আমতলী থেকে ফিরে এসে এভাবেই ঘটনার বিবরন দেন লক্ষ্মন।
তালতলী থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, অন্তরার মা’র আদেশে তার খালাতো ভাই রফিক এসে নিয়ে গেছে। অন্তরার সাথে মোবাইলে কথা হয়েছে। সে এখন তার খালার ঢাকাস্থ বাসায় রয়েছে।