নড়াইলের কলাবাড়িয়ায় সন্ত্রাসী তান্ডব, আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছে মানুষ
মোস্তফা কামাল, নড়াইল প্রতিনিধিঃ গোষ্ঠিগত দ্ব›েদ্ব ইউপি সদস্য কাইয়ুম সিকদার খুনের জেরে নড়াইলের কলাবাড়িয়া এলাকা আতঙ্কের জনপদে পরিনত হয়েছে। কলাবাড়িয়া, বিলাফোর, মুলখানা, কালিনগর সংলগ্ন এই চার গ্রামব্যাপি সন্ত্রাসী তান্ডব চলছে।
প্রতিপক্ষ পরিবারগুলোর দেহশতাধিক বাড়িঘরে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলা, হুমকিরমুখে আতঙ্কিত মানুষের গ্রাম ছাড়া অব্যাহত রয়েছে। অবশ্য পুলিশের দাবি পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
গ্রামজুড়ে ধ্বংসের চিহ্ন দেখে কোন সুপার সাইক্লোনের তান্ডব মনে হলেও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সন্ত্রাসের ভয়াল থাবায় সবকিছু এভাবে তছনছ লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এলাকার অধিপত্য নিয়ে কলাবাড়িয়া সবুর ফকির মোল্যার ও ইউ পি সদস্য কাইয়ুম সিকাদার পক্ষের মধ্যে দ্ব›েদ্ব ২৬মে কাইয়ুম সিকদার খুনের জেরে কাইয়ুম পক্ষের নারখীয় হামলায় দু’দিন আগের সাজানো গোছানো সংসার এক একটি ধ্বংসস্তুুপে পরিনত হয়েছে। রাত নামলেই দুর্বৃত্তরা বাড়ি বাড়ি হানা দিয়ে সহায় সম্বল লুটে নিচ্ছে।
এ অবস্থায় শতাধিক পরিবার ইতিমধ্যে ভিটেমাটি ফেলে পালিয়েছে। হামলা হুমকির মুখে প্রতিদিনই আতঙ্কিত মানুষ গ্রাম ছাড়ছে। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভিটেমাটি আঁকড়ে থাকা ভুক্তভোগী মানুষেরা নিজেদের উপর ঘটে যাওয়া বর্বরতার বিচার দাবি করছেন।
কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান কয়েস বলেন,আমি ১৯৯৭ সাল থেকে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষানিত হয়ে কতিপয় লোক আমার বিরোধিতা করে । শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে এই হত্যা কান্ডে আমাকে আসামী করেছে।
আমি বিগত প্রায় দেড় বছর এলাকার ছেড়ে নড়াইল কোর্টে আইন পেশার নিযুক্ত আছি। ঘটনার দিন আমি নড়াইলে ভার্জুয়াল কোর্টে মামলা করছিলাম এমন সময় হত্যা কান্ড ঘটেছে সেই মামলায় আমাকে ঘটনা স্থালে উপস্থিত দেখিয়ে আমারনামে মামলা করা হয়েছে।
হত্যা পরবর্তী সময়ে এলাকার চারটি গ্রামে প্রায় দেড় শতাধিক বাড়িতে হামলা করে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া ,লুটপাট করাসহ এলাকার নিরহ মানুষের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। এবং ধর্ষনের মত ঘটনাও ঘটেছে হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এই খুনের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় শাস্তির দাবী জানান। অন্যদিকে সহকারি পুলিশ সুপার রিপন সরকার বলেন, হত্যা পরবর্তি কিছু সহিংসতা সংঘোঠিত হলেও তাদের তৎপরতায় বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে ।
তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে । কাইয়ুম সিকদার খুনের ঘটনায় চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান কয়েসসহ ৪৫জনের নামে নিহতের ছেলে মাইনুল ইসলাম মিল্টন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।