তিনি পুলিশ রুপের ফেরেস্তা!
গতকাল সন্দায় আমি ও রবিন লায়লা ক্লাবের সামনে ছিলাম। হঠাৎ মানুষের কান্না এবং ভয়ংকর চিতকারের শব্দ শুনার পর দৌড়াইয়া যেয়ে দেখি মারাতক একসিডেন্ট। রাঙ্গুনিয়া পোমরা সত্যর পিরের মাজার গেইটের পর সৈয়দা সেলিমা কাদের চোধুরি ডিগ্রি কলেজের সামনে।
একটা সিএনজি উল্টায় পরে খাদে যেয়ে গাছের সাথে বেজে আছে। ভির ঠেলে কাছে যেয়ে দেখে, বাকরুদ্দ হই যাই। সামী- স্ত্রী ও দুই বাচ্চা পুরা এক পরিবার রাস্তায় উপর ছিটকাইয়া পড়ে আছে। সবার শরীর রক্তে মাখামাখি করতেছে। মহিলাটার কপালের পাশে গভীরভাবে কেটে ভিতরে ডুকে গেছে। বিশেষ করে পুরুষ লোকটার পা হাটু থেকে প্রায় আলগা অবস্থায় ঝুলতেছে। গরাইয়া রক্ত পড়তেছে। সবাই এরকম মনে করতেছে যে, লোকটা মনে হয় মরে যাবে।
তাদের চাইর পাশে অনেক মানুষ দাড়িয়ে আছে। কিন্তু একটা লোকও এগিয়ে আসতেছিল না। সবাই বলতেছিল যে, যদি কেউ তাদেরকে ধরে এবং তার হাতে ওই লোকদের মৃত্যু হয়, তাহলে নাকি বিপদে পড়তে হবে। খুব খারাপ লাগতেছিল যে, চোখের সামনে লোকটা মরে যাবে।
এমন সময় একটা পুলিশের গাড়ি আসে। পরে জানতে পারি, গাড়িতে ছিলেন, রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম স্যার। উনি এসেই তাদের অবস্থা দেখে এক মুহোর্ত সময় দেরি না করে পাশের এক রিকশাচালক ভাইয়ের কাছ থেকে গামছা নিয়ে রানের উপর শক্ত করে বাধছিলেন। তারপর অনুরোধ করলেন, কেউ কি উনাকে সাহায্য করবে নাকি। কেউ তো সাহায্য করলোই না, উল্টা উনাকে নিষেধ করতে লাগলো, যেন মারাত্মক এই আহত রুগীদেরকে না ধরে। কারন যেই কোন সময় রুগীরা মারা যেতে পারে। তখন সাহায্য করতে আসবে, তারা নাকি বিপদে পরবে। তাই সবাই বলে, ফায়ার সার্বিসকে খবর দিতে।
পুলিশের এএসপি হওয়ার কারনে আনোয়ার হোসেন শামীম স্যার তাদেরকে পাত্তা দেয় নাই। উনি বললো, ফায়ার সার্বিসের জন্য অপেক্কা করলে ত লোকটা নিসছিত মারা যাবে। তাই বরংচ তাদেরকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য নিজেই গাড়িতে তোলা সুরু করে। সবাই খালি উপদেস দেয় কিন্তুক কাছে আসে না কেউ। শুদু আমি এবং আমার বন্দু রবিন স্যারের সাথে কাজ কল্রলাম।
একবার ও ভাবি নাই যে, করুনা মহামারির দিনে এত মানুশের মধ্যে কাজ করায় আমাদের করুনা রোগ হতে পারে। আমরা নিজের চিন্তা না করে ওদেরকে গাড়িতে তোললাম। শুদু তা নয়, স্যারের অনুরোদ করার পর তাদের সাতে হাসপাতালেও গেলাম।
রুগীদের সকল সেবা স্যারকে নিয়া আমরাই করলাম। পরে সাইরেন বাজাইয়া তারাতারি রাঙুনিয়া উপজিলা সাস্থ কম্পলেক্সে নিয়া যাওয়ার পর ডাক্তার বলল, দ্রুত তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যেতে হবে। এখানে নাকি রাখা যাবে না। কিন্তু সরকারি এম্বোলেন্স নাই। আর আহতদের কাছে এমলেন্স ভাড়া নেই। তাই সার্কেল এএসপি স্যার ফোন দিয়ে রাহাতিয়া দরবার শরিফ থেকে ফ্রি একটা এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিলেন। আমরা সবাই মিলে তাদেরকে এমবোলেন্সে তুলে বাড়িতে আসলাম। পুরা সময় স্যারসহ আমরা নিজের হাতে রুগীকে উঠানো নামানোসহ সব কাজ করি।
খুব ভাল লাগল এরকম একটা কাজ করতে পারলাম। আরো বেশি ভাল লাগল যে, একজন পুলিশ হইয়াও সাকেল এএসপি স্যার এই কাজ দেখে। অই রুগীটা স্যারকে চিতকার করে বলতেছিল, আপনি পুলিশ না, আল্লায় আমাদের জন্য ফেরেস্তা পাঠাইছে। আমরা কেউ ভাবি নাই যে, এত বড় অফিসার হয়েও উনি নিজের হাতে আহত লোকদের টেনে তোলবেন আর ঝুকি নিবেন। যুদি ওই লোকটা উনার গাড়িতে মারা যাইত, তাহলে যে কি হইত। আমরা যেন ভবিষতেও এরকম মানুবিক অনেক কাজ করে যেতে পারি আমাদের জন্য সবায় দোয়া করবেন।
আমি আবারও ধন্যবাদ যানাই, এত সুন্দর একটা কাজ কারার জন্য পুলিস বাহিনিকে এবং আমি ও আমার বনদু রবিন সম্পুন্ন কাজ করেছি আহত মানুষদের জন্য। (লেখা;ফেসবুক থেকে নেয়া)