তালতলীতে ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি থেকে ১১ নেতার পদত্যাগ
তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি: নিপীড়িত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে কালো টাকায় মাদক ও হত্যা মামলার আসামীদের উপজেলা ও কলেজ ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অভিযোগ এনে সদ্য ঘোষিত কমিটির যুগ্ম আহবায়কসহ ১১ জন নেতা ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে দলীয় স্ব-স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করে সংবাদ সম্মেলন করেন।
শনিবার(১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে তালতলী সাংবাদিক ফোরামে এক সংবাদ সম্মেলনে ১১ জন পদত্যাগের বিষয়টি ঘোষনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে ছাত্রদলের রাজনীতি করে আসছি। দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে হামলা-মামলা জেল-জুলুম ও নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছি। দলের এই দুর্দিনে রাজপথে থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে রয়েছি। কিন্তু গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বরিশাল বিভাগীয় টিম ও স্থানীয় কিছু স্বার্থলোভীরা টাকার বিনিময়ে বিনিময়ে ছাত্রদলের নির্যাতিত নিপীড়িত ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে মাদক ও হত্যা মামলার আসামীদের এবং অছাত্র ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেন কেন্দ্রী সংসদ। এতে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
এসময় তারা আরও বলেন আহবায়ক কমিটির আহবায়ক হাওলাদার মো. নাসির উদ্দিন যখন উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলো তখন বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি দেওয়ার কথা বলে টাকা উত্তোলন করেন। যার অনেক প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আর বর্তমান কমিটির জহিরুল ইসলাম নামের একজন কে সদস্য সচিব করা হয়েছে তিনি এক যুবদল নেতার হত্যা মামলার আসামী ও স্থানীয় ছাত্র রাজনীতিতে অপরিচিত। যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান তিনি ৫০ পিস ইয়াবাসহ পটুয়াখালী বসে পুলিশেরে হাতে আটক হয়। এছাড়াও অইেশ সদস্য আছে যাদের দলীয় কর্মসূচি পালন করতে দেখিনি।
সংবাদসম্মেলনে বক্তব্যে আরও বলেন পরিকল্পতিত ভাবে সিনিয়রদের অপমানিত করে জুনিয়দেও নামের নিছে দেওয়া হয়েছে। এই সমালিচিত কমিটি থেকে উপজেলা ও কলেজ ছাত্রদলের ১১ জন নেতা ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে দলীয় স্ব-স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করেন তখন আরও বলেন ভবিৎতে আরও পদত্যগ করবে। পাশাপাশি এই কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি দেওয়ার দাবি করা হয়। তা হলে দলের সকল কর্মসূচি পালনে অতীতের মতো আগামীতেও সকল আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন বলে উল্লেখ করেন।
সদ্য ঘোষিত কমিটি থেকে যারা পদত্যাগ করলেন তারা হলো উপজেলা ছাত্র দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ফারুক হোসন, যুগ্ন আহবায়ক জুয়েল মিয়া,সদস্য শামীম বেপারী, সজিব খান,কাওছার আলম এবং কলেজ ছাত্র দলের যুগ্ন আহবায়ক রাসেল মীর, সদস্য জাকারিয়া ও মো.রাকিবুল। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক আরিফ রেজা ও জুয়েল পদত্যাগের ঘোষনা দেন।