মাদকের ভয়াল থাবা শার্শা-বেনাপোল সীমান্তে ২৬ দিনে শিশুসহ আটক ৪০ জন
ফারুক হাসান, বেনাপোল প্রতিনিধি: মাদক সহ সব ধরনের চোরাচালানের জন্য যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত দেশি কিংবা আন্তরর্জাতিক চোরাকারবারীদের কাছে আলাদা কদর রয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এই সীমান্তকে চোরাকারবারীরা ন্ধিসঢ়;রাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করেআসছে।
ক্রমেই মাদকের ভয়াল থাবা গ্রাস করে চলেছে শার্শা-বেনাপোলকে। দিন দিন মাদকের প্রোকপ বেড়েই চলেছে এ সীমান্তএলাকায়। বিজিবি ও পুলিশের কড়া নজরদারির পরও নিত্য নতুনকৌশলে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর মাদকের গডফাদাররা তাদের ব্যবসার কৌশল হিসাবে নারী-পুরুষও শিশুদের ব্যবহার করছে অহরহ।
অনেক মাদক ব্যবসায়ী আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হলে, পরে তারা বহনকারীহয়ে যায়।ফলে সহজে জেল হাজত বেরিয়ে আসে। আবার শুরু করেসেই পুরণো পেশা। আর মাদকের গডফাদাররা ধরা ছোঁয়ার বাইরেথাকে সব সময়।
পুলিশ ,বিজিবি’র অব্যহত অভিযানের ফলেওথামানো যাচ্ছে না মাদক চোরাকারবারীদের।বিজিবি ও পুলিশের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে গত ২৬দিনে শার্শা-বেনাপোল সীমান্তে বিভিন্ন ধরনের মাদকসহ ৪০জন নারী-পুরুষ ও শিশু আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হাতেআটক হয়েছে ।
বাংলাদেশ মানবধিকার বাস্তবায়ন কমিশন বেনাপোল পৌর শাখারসভাপতি মহসিন মিলন বলেন, বেনাপোল ও র্শাশা সীমান্তচোরাকারবারীদের কাছে চোরাচালানের জন্য নিরাপদ রুট হিসাবে দীর্ঘ দিন ব্যবহার হয়ে আসছে। বিজিবি ও পুলিশের একার পক্ষেমাদক পাচার বন্ধ করা সম্ভব হবেনা।
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। মাদকেরবিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর অভিযানঅব্যহত রাখার আহবান জানান।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খাঁনজানান,মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স দেখানো হচ্ছে। মাদকচোরাকারবারীদের কোন ছাড় নেই। যেখানে মাদক সেখানে পুলিশএ শ্লোগান নিয়ে সীমান্ত জুড়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।সীমান্তে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধেঅভিযান অব্যহত থাকবে।