যে সমাজে মৃত্যুর পর খোঁজ নেয় স্বজনরা
সোহেল আহমেদ: মানবতার যুদ্ধে আমাদের সমাজে কাগজ কলমে ছাড়া বাস্তব জীবনে আসলে কেউ নেই। অভাব, অনটন বা পরিবারের লাঞ্চনা যা হোক মানুষ নামের জীবিত নিস্প্রাণ ব্যক্তির মানবেতর জীবনযাপনে আমাদের কারো কিছুই করার নেই?
দেশের অনেক সংগঠন রয়েছে যারা নাকি মানবতা নিয়ে কাজ করে। তাহলে কেনো একের পর এক হতভাগ্য পিতা/ মাতা কিংবা ভাই-বোনরা ভবঘুরে? কেন তারা পথে প্রান্তরে বা ভাষমান জীবনের পথ বেছে নিচ্ছে?
সমাজের বিভিন্ন স্থানে ভাষমান এমন মানুষদের নিয়ে আমাদের মানবতার কাজে নিয়োজিত সংগঠনগুলো কি কাজ করছে সে প্রশ্ন এখন চাউর হচ্ছে। সে আলোচনায় এখন যাচ্ছিনা।
আমাদের দেখেও না দেখার অন্ধ চোখ খুলে দিচ্ছেন নোয়াখালীর আলোকিত সন্তান বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্য সৃষ্টির মহান মানুষ শওকত হোসেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মানবিক ইউনিট প্রধান শওকত হোসেন এর টিমের নিরলস চেষ্টায় কিছুটা হলেও শহরের বেওয়ারিশ মানুষেরা মানবতার সেবায় আলোকিত হচ্ছে।
দু:খ তখনই হয় যখন অনেক সেবা যত্নের পরেও একজন হতদরিদ্র ভারসম্যহীন মানুষ স্বজনদের না দেখেই এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপারে চলে যাচ্ছে। আর চলে যাওয়ার পরই স্বজনদের আহাজারীর খবর আসছে!
রাস্তা থেকে খুবই অসুস্থ্য অবস্থায় এই বেওয়ারিশ লোকটিকে মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপি তুলে এনে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মানবিক পুলিশ ইউনিট সিএমপির তত্বাবধানে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন ৷
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে ব্যক্তি মৃত্যুবরন করেন। এবং আন্জুমান মফিদুল ইসলামের সহায়তায় তাঁর লাশ নগরীর চৈতন্যগলির বেওয়ারিশদের জন্য সংরক্ষিত কবরস্থানে দাফন করা হয় ৷
খুবই দুঃখের বিষয় বৃদ্ধ মানুষটি মারা যাওয়ার পরে এখন তাঁর পরিবারের লোকজন মানবিক পুলিশ শওকত হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করছে বলে জানাগেছে ৷
জানাযায়, মৃত ব্যক্তির স্ত্রী আর ছেলে মেয়েরা দাবী করছে ১২ বছর আগে তিনি হারিয়ে যায় ৷ কি হবে েএখন যোগাযোগ করে? এখন ওনাদেরকে একটি মাটির গর্তের ঠিকানাটা দেয়া ছাড়া আর কিছুই কি আছে?
মানবিক পুলিশ শওকত হোসেন বলেন, এরকম যাতে কাউকে মাটির গর্ত দেখিয়ে দিতে না হয়, এজন্য সবাই বাবা মায়ের প্রতি যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।