প্রয়াত বাবার স্বপ্ন পূরণ
ইকবাল হোসেন তালুকদারঃ
বাবার স্বপ্ন ও নিজের আত্মপরিচয়ের জন্য কিছু করতে হবে সেই সুবাদেই সাংবাদিক পেশায় আসা আমার। আমি মনে করি সফল ব্যাক্তি হতে গেলে স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্ন হতে হবে বড় আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে থাকতে হবে বিশ্বাস।
অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যেকোনো কাজের প্রতি ইচ্ছাকে জাগিয়ে তোলে। ফলে সয়ংক্রিয়ভাবে আগের তুলনায় আরো ভালো কাজ করতে পারা যায়। এই অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ আমাকে নতুন করে চ্যালেঞ্জ করতে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে সাহায্য করে।
সেই ছোট বেলার গল্প—
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার বাবা আমাকে খুব আদর স্নেহ করতেন, আমাদের পরিবারের ছোট সন্তান আমি সেই সুবাদে সবাই আমাকে খুব স্নেহ করত বিশেষ করে আমার বাবা আমাকে আদর ভালবাসা দিতেন। তখন আমি শান্ত শিষ্ট ছিলাম। তখন বাবা বলতেন আমার ছেলে বড় হয়ে সাংবাদিক হবে। তখন ততটা বুঝতাম না সাংবাদিক আসলে কি। তখন ছোট ছিলাম কিন্তু ধিরে ধিরে দিন যাচ্ছে আর আমি বড় হচ্ছি।
পড়াশোনা কবে কোথায় —
ছোট বেলায় পড়াশোনায় খুব মনযোগী ছিলাম। নিজ বাড়ির কাছে “পূর্ব তিমির পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়” থেকে শুরু হয় স্কুল জীবন। ৫ বছরে শেষ করি প্রাথমিক শিক্ষা। তার পর ভর্তি হই নবীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “নবীগঞ্জ জে কে মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে” বর্তমান নাম “নবীগঞ্জ জে কে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়” সেখান থেকে মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করি। তার পর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হই “শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজে ” দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ শ্রীমঙ্গল। চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপি। চা বাগানের সতেজ সবুজ পাতায় পূর্ণ হয়ে আছে শ্রীমঙ্গলের নিসর্গশোভা। পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে এবং চায়ের রাজধানী হিসেবে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার খ্যাতি সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ৭ মাস তাকার পর মা-বাবা ও পরিবারের সবাই কে চারা তাকতে ভালো লাগে নাই তার পর নিজের বাড়ির কাছে আসার জন্য ছাড়পত্র সিলেট শিক্ষা বোর্ডে জমা দেই তার কয়েক দিন পর আমার আমার ছাড়পত্র গ্রহণ করে বৃন্দাবন সরকারি কলেজে আমাকে দেয়া হয়। সেখানে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করি। তার পর রেজাল্ট এর অপেক্ষায় কাঙ্খিত ফলাফল না হওয়ায় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষা দেই নাই। শেষ মূহুর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে সাত কলেজ ভর্তি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করি। আল্লাহর রহমতে ও মা-বাবার দোয়ায় আমি পাস করি তার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজে অর্নাসে ভর্তি হই।
বাবার উপদেশ—-
বাবার সব সময় বলতেন,সাফল্য কোন মরীচিকা নয়। সারাজীবন অধরা থেকে যাবে এমন কোন অসাধ্য বস্তুও নয়।উত্তরটা খুব সহজ! বিন্দু বিন্দু জলকণা থেকে যেমন বিশাল এক সমুদ্রের গর্জন উঠে, প্রতিদিন একটু একটু সাধনা আর সংকল্পের ছোঁয়ায় তুমিও একদিন মানুষও মহীরুহে পরিণত হবে। সুতরাং প্রতিভা বা মেধার দোহাই দিয়ে আসলে কিছু হয় না। ইতিহাসের স্মরণীয় বরণীয় ব্যক্তিরা তোমার মতই একেকজন পৃথিবীর আলো হাওয়ায় বেড়ে ওঠা মানুষ, ভিনগ্রহের আগন্তুক নন। প্রচেষ্টা আর সাধনায় তাঁরা ছাড়িয়ে গেছেন অন্যদের প্রতিদিন একটু একটু করে। একটুখানি উদ্যোগ নিলে তুমিও পারবে একদিন তাঁদের কাতারে নাম লেখাতে।
সাংবাদিকতা কিভাবে শুরু —-
যখন কলেজে পড়াশোনা করি তখন হঠাৎ এক দিন আমার এক বন্ধু আমাকে বলে বন্ধু পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতা কর তাহলে মেধা-জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। তখন থেকে শুরু হয় শখের বসে এবং বাবার ইচ্ছে পূরণ করতে শুরু করলাম লেখালেখি। স্থানীয় দৈনিক তরফ বার্তা পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে শুরু হয় সাংবাদিকতা তার পর সিলেটের বহুল প্রচারিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিলেট ভয়েস ডট কম এ নিউজ পাঠাই তার পর সিলেট ভয়েস’র সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক সহ স্টাফ রিপোর্টার সবার সহযোগিতায় অনেক কিছু শিখতে তাকি ধিরে ধিরে। প্রায় এক বছর জাওয়ার পর স্থানীয় দৈনিক হবিগঞ্জের বাণী পত্রিকায় নিয়োগ হয়।
হবিগঞ্জ জেলার কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইনাতগঞ্জ বার্তায় বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেছি।
ইকবাল হোসেন তালুকদার
সাংবাদিক