বরগুনায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করলেই ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক: মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল ও ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধে বরগুনা পৌরসভাধীন ফার্মেসী পট্টি ও অন্যান্য ঔষধ ব্যবসায়ীদের সাথে অফিসার ইনচার্জ এর কক্ষে জনসচেতনতামূলক সভা করেন আবির মোহাম্মদ হোসেন সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ বরগুনা থানা, বরগুনা, তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ফার্মেসি ব্যবস্থাপনায় নকল ও আনরেজিস্টার্ড ঔষধ কিভাবে চেনা যাবে, ফার্মেসি ব্যবস্থাপনা কিভাবে করতে হবে, ফার্মেসিতে কিভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং ইনভয়েসের মাধ্যমে ঔষধ ক্রয় করা কেনো আবশ্যক- এসব না জেনে অনেক সময় ফার্মেসির মালিক কিংবা ফার্মাসিস্টরা অপরাধ করে থাকেন।
তাই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ প্রতিরোধ করে ফার্মেসি ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করতে হবে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এর কোনো বিকল্প নেই।
এছাড়া ও বিক্রয়ের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ফার্মেসির সেলফ, ড্রয়ার কিংবা রেফ্রিজারেটর অথবা ফার্মেসির অন্য কোথাও পাওয়া গেলে সেগুলো জব্দ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ আলাদা কন্টেইনারে লাল কালি দিয়ে (‘মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ, বিক্রির জন্য নয়’-) এটি লিখে সংরক্ষণ করতে হবে।
পাশাপাশি দ্রুতই সেগুলো উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট হস্তান্তর করতে হবে। এ বিষয়ে রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে।
ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ পাওয়া গেলে ফার্মেসিটি সিলগালা করে বন্ধ করাসহ মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা পর্যন্ত নেওয়া হবে পারে। তিনি আরও বলেন, ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ও ফার্মাসিস্টবিহীন ফার্মেসি ব্যবসা আর পরিচালনা করা যাবে না।
ফার্মেসিতে আইনতভাবে ফার্মাসিস্টের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। এছাড়া আনরেজিস্টার্ড, নকল, ভেজাল, মিসব্র্যান্ডেড ও কাউন্টারফেইট ঔষধ, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল, সরকারি ঔষধ, রোগ নিরাময় করে এমন ফুড সাপ্লিমেন্ট ফার্মেসিতে মজুদ ও বিক্রয় করা যাবে না।
নকল, ভেজাল ও আনরেজিস্টার্ড ঔষধ বিক্রয় বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পাশাপাশি প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওটিসি (OTC- Over the Counter Drugs) ব্যতীত অ্যান্টিবায়োটিকসহ অন্য কোনো ঔষধ বিক্রি করা যাবে না।