হেরে যাওয়ার ভাবনা মাথায় রেখেই নির্বাচন করছি - দৈনিক বরিশাল ২৪ দৈনিক বরিশাল ২৪হেরে যাওয়ার ভাবনা মাথায় রেখেই নির্বাচন করছি - দৈনিক বরিশাল ২৪

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ২২, ২০১৯ ১:৪০ অপরাহ্ণ
A- A A+ Print

হেরে যাওয়ার ভাবনা মাথায় রেখেই নির্বাচন করছি

অনলাইন নিউজ: ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রিয়দর্শিনী চিত্রনায়িকা মৌসুমী। অভিনয় দিয়ে মন কেড়েছেন অসংখ্য ভক্তের। শুরু থেকে এখনও কাজ করছেন বেশ দাপট নিয়েই। ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে স্বতন্ত্র সভাপতি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বর্তমানে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়েই ব্যস্ত আছেন। ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি, প্রত্যাশা এবং চলচ্চিত্রের সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে যুগান্তরের মুখোমুখি হন এ অভিনেত্রী।

শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আপনার প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা কী?

প্রস্তুতি চলছে। সবার সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। আশা করছি নির্বাচনে বিজয়ী হব। তবে হেরেও যেতে পারি, এটা মাথায় আছে।

বর্তমান কমিটি অনেক সদস্যের ভোটাধিকার বাতিল করেছে। বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। আপনার বক্তব্য কী?

এটা সত্যিই দুঃখজনক। মেনে নেয়াও কঠিন এবং কষ্টকর। আমরা সবাই শিল্পী। যাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের পরবর্তীতে বাদ দেয়াটা ঠিক নয়। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সব কিছুই তো পরিষ্কার হল, কারা কী করছেন!

এজন্য নির্বাচন স্থগিতাদেশ চেয়ে ইলেকশন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর আইনি নোটিশও দিয়েছেন দুই সদস্য। আপনিও নির্বাচন বন্ধ করাটা সমর্থন করেন?

নোটিশের বিষয়টি আমি গণমাধ্যমে দেখেছি। এটা ইলেকশন কমিশনারের সিদ্ধান্ত, তিনি কী করবেন সেটা তিনিই ভালো জানেন। তবে ভোটাধিকার বাতিল করার বিষয়টি দুঃখজনক।

যাদের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে তারা আইনি প্রতিকার চাইতেই পারেন। ইলেকশন কমিশনারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি আমিও। তবে এজন্য আমার নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে না।

শিল্পীরা যে এখন কাজের প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে অন্য কিছু চর্চা করছেন এটা কী ইন্ডাস্ট্রিকে কলুষিত করছে না?

আসলে এটি সব সময় ছিল এবং থাকবে। এটা কখনই শুভকর নয়। এ রকম চলতে থাকলে ইন্ডাস্ট্রির আগামীটা খুব ভালো হবে না।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্যানেল দেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি কেন?

প্যানেল করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি, এটা সত্যি। কিন্তু কেন হয়নি এ নিয়ে এখন আর তেমন কিছু বলতে চাই না। তবে একটি প্যানেল করতে প্রস্তুতি লাগে। এর জন্য হয়তো অনেকেই প্রস্তুত ছিলেন না। পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাকআপও দরকার, যা ছিল না। সবাই সরে গেলেও আমি সরে যাইনি। একাই লড়ছি। সবচেয়ে বড় কথা শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হোক, এটাই আমি চেয়েছি। সে জন্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।

আপনার সঙ্গে কারা কারা নির্বাচন করার কথা ছিল? তারা সরে গেলেন কেন?

নাম বলতে চাই না। তবে অনেকেরই নির্বাচন করার কথা ছিল। ব্যক্তিগত কারণে তারা সরে গেছেন। পাশাপাশি প্রস্তুতির একটা বিষয় ছিল। অনেকে সেই প্রস্তুতিটা নিতে পারেননি। এ জন্যই হয়তো সরে গেছেন।

কিন্তু আপনি তো বলেছেন, আপনার সঙ্গে যারা প্যানেল করার কথা ছিল তাদের বাধা দেয়া হয়েছে….

তখন যা বলেছি, এখনও আমার বক্তব্য থেকে সরে যাইনি। এ বিষয়ে এখন আর কিছু বলার নেই। সবকিছুই তো এখন জানা ও দেখা হয়ে গেছে। তবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা একান্ত নিজের বিষয়। যারা করেননি তারা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করেই হয়তো করেননি। তবে কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই।

কিন্তু তারা তো বলেছেন, কেউ তাদের বাধা দেয়নি…

ওই যে আগেই বলেছি, এ বিষয়ে এখন আর কিছু বলার নেই।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হবেন বলে ডিএ তায়েবও তো শেষ পর্যন্ত আপনার সঙ্গে থাকল না। মতের অমিল নাকি অন্য কোনো কারণ?

মতের অমিল বা অন্য কোনো কারণ নেই। শুধু চাকরিজনিত কারণে তিনি সরে গেছেন।

সবাই চলে গেলেন কিন্তু আপনি কেন লড়ছেন?

আমি মনে করি, শিল্পীদের পাশাপাশি এই ইন্ডাস্ট্রির প্রতিও আমার দায়বদ্ধতা আছে। তাই এখনও নির্বাচনে লড়ার প্রতি অনড় আছি এবং থাকব।

একা একা এ যুদ্ধে কতটা পথ পাড়ি দেবেন? জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?

কে বলছে আমি একা? আপনারা আছেন, শিল্পী সমিতির সদস্যরা আছেন। নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন তারা আর আমি একই ঘরের মানুষ। নির্বাচনের পরে তো সবাই কাজে নামব, তাই না? আমি একা নই। সবার ভালোবাসা আমার সঙ্গে আছে।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেহেতু দুপক্ষের মধ্যে হবে, সে জন্য একা বলাটাই স্বাভাবিক। সে দিক থেকে আমি শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব, এতে কোনো সন্দেহ নেই। হার-জিতের কথা এলে বলব- আমি হেরে যেতে পারি, এ ভাবনা মাথায় নিয়েই নির্বাচন করছি। নির্বাচনে তো সবাই জয়ী হয় না। কিন্তু দিন শেষে আমাদের পরিচয় আমরা শিল্পী।

যারা কথা দিয়েও আপনার সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেননি, তারা আপনাকে ভোট দেবে বা আপনার পক্ষে কাজ করবে, এটার নিশ্চয়তা কী?

কারও ভেতরের খবর তো জানি না। যারা নির্বাচনে অংশ নেননি তারা আমার সঙ্গে আছেন, থাকবেন- এটা আমি মনে করি। সবার সঙ্গেই আমার যোগাযোগ হয়।

নির্বাচন থেকে সরে যান, বসে পড়ুন- এমন বাধার সম্মুখীন নিশ্চয়ই হয়েছেন?

এটা নতুন কিছু নয়। অনেকেই সেটা বলছেন। আমি বিনয়ের সঙ্গে তাদের বলেছি, ঠিক আছে দেখব, দেখছি। এমনও চলছে যে আমার পক্ষে যারা প্রচারণা করছেন তাদেরও বলা হচ্ছে, এসব করার দরকার কী? এসব শুনে আমি হাসি, আবার কষ্টও হয়।

শিল্পী সমিতির প্রথম বছর এজিএম হয়নি। নির্বাচনের আগে যেটা হয়েছে সেখানে কথা বলতে না দেয়ায় রিয়াজ প্রতিবাদ করে বের হয়ে গেছেন। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে আপনার প্রতিবাদ কী ছিল?

অনিয়মের পুরো বিষয়টি তো এখন পরিষ্কার। সবাই জেনে গেছেন। এটা বরাবরই দুঃখজনক। আমরা নির্বাচনের প্রার্থী, শিল্পী সমিতির সদস্য, তার চেয়ে বড় পরিচয় আমরা শিল্পী, তাই না? ভেতরের বিষয়গুলো তো নিজেদের মধ্যে বসে সমাধান করা যেত। এ নিয়ে যারা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন, এটা অনুচিত ও দুঃখজনক।

নির্বাচিত হলে এককভাবে কতটা লড়তে পারবেন যেখানে পুরো প্যানলেই আপনার বিপরীতে থাকবে?

লড়তে তো হবে। আমি কাউকে বিপরীত কিংবা প্রতিপক্ষ মনে করি না। অন্যরা হয়তো মনে করতে পারেন। আমি নির্বাচিত হলে অন্যকে ছোট করে কথাও বলব না। সবাই একই সংগঠনের মানুষ। কেন বিভেদ তৈরি করব? অন্য প্যানেলের বলে কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দাওয়াত করা হয় না, এমনটাও দেখেছি। আমি নিজেই তার সাক্ষী। আমি নির্বাচিত হলে এটা হতে দেব না।

যদি নির্বাচনে বিজয়ী হন তবে পরবর্তীতে কোন কাজগুলোয় হাত দেবেন?

অগ্রিম কোনো কথা বলতে চাই না। নির্বাচনের আগে অনেকেই অনেক কথা বলে থাকেন। আমি এসব বলতে চাই না। এতটুকু বলতে চাই, আমি শিল্পীদের জন্য কাজ করব।

অনেক সময় দেখা যায় নির্বাচনের আগের দিনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যান। আপনার ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটবে না তো?

এখন পর্যন্ত বলতে পারব, আমি নির্বাচনে লড়ে যাব। একটি কথা স্পষ্ট করে আবারও বলতে চাই, নির্বাচনটা যেন হয় সে জন্যই আমি অংশগ্রহণ করছি।

নির্বাচনকেন্দ্রিক ব্যস্ততা ছাড়া আর কী কাজ করছেন?

‘অর্জন ৭১’ নামে একটি ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ততা আছে। সেটা কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রেখেছি। নির্বাচনের পর আবার শুটিং শুরু করব। নতুন আরেকটি ছবি নিয়ে কথা হচ্ছে। পাশাপাশি আমি সামাজিক কিছু কাজ করি, সেগুলো নিয়েও ব্যস্ততা আছে।

আপনার মতে, সিনেমাশিল্পের বর্তমান করুণ অবস্থার জন্য কারা দায়ী?

এককভাবে কেউ দায়ী নন। দায়ী বলতে তো প্রযোজক, পরিচালক কিংবা গল্পকারের কথা চলে আসে, তাই না? কিন্তু তারা কী করবে বলুন? একটি ছবি বানাতে যে টাকা খরচ হয় তা ওঠানোর জন্য কি সিনেমাহল আছে? তাহলে ছবি বানাতে কে এগিয়ে আসবে? মূলকথা, সবাইকে সচেতন ও যত্ন নিয়ে কাজ করতে হবে। সিনেমাহলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। যে সিনেমাহল আছে সেগুলোর পরিবেশ ঠিক করতে হবে।

সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি সত্যিই ঘুরে দাঁড়াবে বলে কি আপনি মনে করেন? করলেও সেটা কত সময় পর?

অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে। এখন যে অবস্থা সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে। যত্নসহকারে কাজ করলে ৫-৬ বছরের মধ্যে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে সে কাজ এখন থেকেই শুরু করতে হবে।

কিছুদিন আগেই প্রযোজক সমিতির নির্বাচন হয়ে গেল। এরপর প্রযোজক সমিতির কোনো কার্যক্রম কি গত দুমাসের মধ্যে পেয়েছেন?

দু-এক মাসে তো বোঝা যাবে না। সবাই চেষ্টা করছেন ঘুরে দাঁড়াতে। আরও সময় যাক। তখন সবাই জানতে পারবেন কেমন কাজ হচ্ছে বা হয়েছে।

অনেকে বলে থাকেন, সিনেমাশিল্পে কালো টাকা ব্যবহার হয়। এটা কি আপনি বিশ্বাস করেন?

আসলে এটি বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের কিছু নয়। আমাদের কাজ অভিনয় করা। অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত থাকি। কে, কোথা থেকে টাকা আনেন তার খবর তো আমরা রাখি না। হয়তো কেউ কেউ কালো টাকা ব্যবহার করছেন। তবে এটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, সব দেশেই নজির রয়েছে।

এখন যারা প্রযোজক হয়ে আসছেন, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে অপরাধজনিত অভিযোগও রয়েছে। যেমন, জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ, শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান, দেশবাংলা মাল্টিমিডিয়ার আরমানসহ আরও অনেকে। তাদের আবার সিনেমার লোকজন পূজনীয় করেও তুলছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

প্রথমত ইন্ডাস্ট্রিতে যে কেউ কাজ করতে পারেন। কিন্তু তার অতীত ঘেঁটে দেখা তো শিল্পীদের কাজ নয়। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা তো এ জগতে এসে অপরাধ করেননি। তবে যারা অপরাধী তাদের থেকে সচেতন থাকা ভালো। আরেকটা বিষয়, অভিযুক্তরা তো আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এসে অপরাধ করছেন না বা কাউকে বাধ্য করছেন না। তবে শিল্পীদের জন্য বলতে চাই, তারা যেন কাজের ক্ষেত্রে সচেতন থাকেন।

এখন ক্রমেই সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে সম্মানবোধের জায়গাটা কমে যাচ্ছে। অনেকের বক্তব্য কিংবা সাক্ষাৎকার দেখে তা বোঝা যায়। এ নিয়ে কী বলবেন?

আমি আমার কথা বলি। আমার সিনিয়র যারা আছেন তাদের প্রতি আমার সম্মানপ্রদর্শন এখনও একই। আসলে একজনের প্রতি আরেকজনের সম্মানবোধ থাকতে হবে। বড়কে শ্রদ্ধা ও ছোটকে স্নেহ করা তো কঠিন কাজ নয়। এটা অনেকেই বুঝতে চান না। একজন শিল্পীর এসব বিষয়গুলো সতর্কতা এবং যত্নসহকারে বোঝা উচিত।

ক্যারিয়ারের এ সময়ে এসে নিজের কাজের মূল্যায়ন করবেন কীভাবে?

শিখেই যাচ্ছি। শেখার কোনো শেষ নেই। কাজ করছি। আগামীতেও কাজ করব।

আগামীর পরিকল্পনা কী?

আরও কিছু কাজ করব। ভালো ভালো কাজ।

দৈনিক বরিশাল ২৪

হেরে যাওয়ার ভাবনা মাথায় রেখেই নির্বাচন করছি

মঙ্গলবার, অক্টোবর ২২, ২০১৯ ১:৪০ অপরাহ্ণ

অনলাইন নিউজ: ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রিয়দর্শিনী চিত্রনায়িকা মৌসুমী। অভিনয় দিয়ে মন কেড়েছেন অসংখ্য ভক্তের। শুরু থেকে এখনও কাজ করছেন বেশ দাপট নিয়েই। ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে স্বতন্ত্র সভাপতি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বর্তমানে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়েই ব্যস্ত আছেন। ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি, প্রত্যাশা এবং চলচ্চিত্রের সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে যুগান্তরের মুখোমুখি হন এ অভিনেত্রী।

শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আপনার প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা কী?

প্রস্তুতি চলছে। সবার সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। আশা করছি নির্বাচনে বিজয়ী হব। তবে হেরেও যেতে পারি, এটা মাথায় আছে।

বর্তমান কমিটি অনেক সদস্যের ভোটাধিকার বাতিল করেছে। বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। আপনার বক্তব্য কী?

এটা সত্যিই দুঃখজনক। মেনে নেয়াও কঠিন এবং কষ্টকর। আমরা সবাই শিল্পী। যাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের পরবর্তীতে বাদ দেয়াটা ঠিক নয়। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সব কিছুই তো পরিষ্কার হল, কারা কী করছেন!

এজন্য নির্বাচন স্থগিতাদেশ চেয়ে ইলেকশন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর আইনি নোটিশও দিয়েছেন দুই সদস্য। আপনিও নির্বাচন বন্ধ করাটা সমর্থন করেন?

নোটিশের বিষয়টি আমি গণমাধ্যমে দেখেছি। এটা ইলেকশন কমিশনারের সিদ্ধান্ত, তিনি কী করবেন সেটা তিনিই ভালো জানেন। তবে ভোটাধিকার বাতিল করার বিষয়টি দুঃখজনক।

যাদের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে তারা আইনি প্রতিকার চাইতেই পারেন। ইলেকশন কমিশনারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি আমিও। তবে এজন্য আমার নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে না।

শিল্পীরা যে এখন কাজের প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে অন্য কিছু চর্চা করছেন এটা কী ইন্ডাস্ট্রিকে কলুষিত করছে না?

আসলে এটি সব সময় ছিল এবং থাকবে। এটা কখনই শুভকর নয়। এ রকম চলতে থাকলে ইন্ডাস্ট্রির আগামীটা খুব ভালো হবে না।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্যানেল দেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি কেন?

প্যানেল করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি, এটা সত্যি। কিন্তু কেন হয়নি এ নিয়ে এখন আর তেমন কিছু বলতে চাই না। তবে একটি প্যানেল করতে প্রস্তুতি লাগে। এর জন্য হয়তো অনেকেই প্রস্তুত ছিলেন না। পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাকআপও দরকার, যা ছিল না। সবাই সরে গেলেও আমি সরে যাইনি। একাই লড়ছি। সবচেয়ে বড় কথা শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হোক, এটাই আমি চেয়েছি। সে জন্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।

আপনার সঙ্গে কারা কারা নির্বাচন করার কথা ছিল? তারা সরে গেলেন কেন?

নাম বলতে চাই না। তবে অনেকেরই নির্বাচন করার কথা ছিল। ব্যক্তিগত কারণে তারা সরে গেছেন। পাশাপাশি প্রস্তুতির একটা বিষয় ছিল। অনেকে সেই প্রস্তুতিটা নিতে পারেননি। এ জন্যই হয়তো সরে গেছেন।

কিন্তু আপনি তো বলেছেন, আপনার সঙ্গে যারা প্যানেল করার কথা ছিল তাদের বাধা দেয়া হয়েছে….

তখন যা বলেছি, এখনও আমার বক্তব্য থেকে সরে যাইনি। এ বিষয়ে এখন আর কিছু বলার নেই। সবকিছুই তো এখন জানা ও দেখা হয়ে গেছে। তবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা একান্ত নিজের বিষয়। যারা করেননি তারা নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করেই হয়তো করেননি। তবে কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই।

কিন্তু তারা তো বলেছেন, কেউ তাদের বাধা দেয়নি…

ওই যে আগেই বলেছি, এ বিষয়ে এখন আর কিছু বলার নেই।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হবেন বলে ডিএ তায়েবও তো শেষ পর্যন্ত আপনার সঙ্গে থাকল না। মতের অমিল নাকি অন্য কোনো কারণ?

মতের অমিল বা অন্য কোনো কারণ নেই। শুধু চাকরিজনিত কারণে তিনি সরে গেছেন।

সবাই চলে গেলেন কিন্তু আপনি কেন লড়ছেন?

আমি মনে করি, শিল্পীদের পাশাপাশি এই ইন্ডাস্ট্রির প্রতিও আমার দায়বদ্ধতা আছে। তাই এখনও নির্বাচনে লড়ার প্রতি অনড় আছি এবং থাকব।

একা একা এ যুদ্ধে কতটা পথ পাড়ি দেবেন? জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?

কে বলছে আমি একা? আপনারা আছেন, শিল্পী সমিতির সদস্যরা আছেন। নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন তারা আর আমি একই ঘরের মানুষ। নির্বাচনের পরে তো সবাই কাজে নামব, তাই না? আমি একা নই। সবার ভালোবাসা আমার সঙ্গে আছে।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেহেতু দুপক্ষের মধ্যে হবে, সে জন্য একা বলাটাই স্বাভাবিক। সে দিক থেকে আমি শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব, এতে কোনো সন্দেহ নেই। হার-জিতের কথা এলে বলব- আমি হেরে যেতে পারি, এ ভাবনা মাথায় নিয়েই নির্বাচন করছি। নির্বাচনে তো সবাই জয়ী হয় না। কিন্তু দিন শেষে আমাদের পরিচয় আমরা শিল্পী।

যারা কথা দিয়েও আপনার সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেননি, তারা আপনাকে ভোট দেবে বা আপনার পক্ষে কাজ করবে, এটার নিশ্চয়তা কী?

কারও ভেতরের খবর তো জানি না। যারা নির্বাচনে অংশ নেননি তারা আমার সঙ্গে আছেন, থাকবেন- এটা আমি মনে করি। সবার সঙ্গেই আমার যোগাযোগ হয়।

নির্বাচন থেকে সরে যান, বসে পড়ুন- এমন বাধার সম্মুখীন নিশ্চয়ই হয়েছেন?

এটা নতুন কিছু নয়। অনেকেই সেটা বলছেন। আমি বিনয়ের সঙ্গে তাদের বলেছি, ঠিক আছে দেখব, দেখছি। এমনও চলছে যে আমার পক্ষে যারা প্রচারণা করছেন তাদেরও বলা হচ্ছে, এসব করার দরকার কী? এসব শুনে আমি হাসি, আবার কষ্টও হয়।

শিল্পী সমিতির প্রথম বছর এজিএম হয়নি। নির্বাচনের আগে যেটা হয়েছে সেখানে কথা বলতে না দেয়ায় রিয়াজ প্রতিবাদ করে বের হয়ে গেছেন। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে আপনার প্রতিবাদ কী ছিল?

অনিয়মের পুরো বিষয়টি তো এখন পরিষ্কার। সবাই জেনে গেছেন। এটা বরাবরই দুঃখজনক। আমরা নির্বাচনের প্রার্থী, শিল্পী সমিতির সদস্য, তার চেয়ে বড় পরিচয় আমরা শিল্পী, তাই না? ভেতরের বিষয়গুলো তো নিজেদের মধ্যে বসে সমাধান করা যেত। এ নিয়ে যারা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন, এটা অনুচিত ও দুঃখজনক।

নির্বাচিত হলে এককভাবে কতটা লড়তে পারবেন যেখানে পুরো প্যানলেই আপনার বিপরীতে থাকবে?

লড়তে তো হবে। আমি কাউকে বিপরীত কিংবা প্রতিপক্ষ মনে করি না। অন্যরা হয়তো মনে করতে পারেন। আমি নির্বাচিত হলে অন্যকে ছোট করে কথাও বলব না। সবাই একই সংগঠনের মানুষ। কেন বিভেদ তৈরি করব? অন্য প্যানেলের বলে কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দাওয়াত করা হয় না, এমনটাও দেখেছি। আমি নিজেই তার সাক্ষী। আমি নির্বাচিত হলে এটা হতে দেব না।

যদি নির্বাচনে বিজয়ী হন তবে পরবর্তীতে কোন কাজগুলোয় হাত দেবেন?

অগ্রিম কোনো কথা বলতে চাই না। নির্বাচনের আগে অনেকেই অনেক কথা বলে থাকেন। আমি এসব বলতে চাই না। এতটুকু বলতে চাই, আমি শিল্পীদের জন্য কাজ করব।

অনেক সময় দেখা যায় নির্বাচনের আগের দিনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যান। আপনার ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটবে না তো?

এখন পর্যন্ত বলতে পারব, আমি নির্বাচনে লড়ে যাব। একটি কথা স্পষ্ট করে আবারও বলতে চাই, নির্বাচনটা যেন হয় সে জন্যই আমি অংশগ্রহণ করছি।

নির্বাচনকেন্দ্রিক ব্যস্ততা ছাড়া আর কী কাজ করছেন?

‘অর্জন ৭১’ নামে একটি ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ততা আছে। সেটা কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রেখেছি। নির্বাচনের পর আবার শুটিং শুরু করব। নতুন আরেকটি ছবি নিয়ে কথা হচ্ছে। পাশাপাশি আমি সামাজিক কিছু কাজ করি, সেগুলো নিয়েও ব্যস্ততা আছে।

আপনার মতে, সিনেমাশিল্পের বর্তমান করুণ অবস্থার জন্য কারা দায়ী?

এককভাবে কেউ দায়ী নন। দায়ী বলতে তো প্রযোজক, পরিচালক কিংবা গল্পকারের কথা চলে আসে, তাই না? কিন্তু তারা কী করবে বলুন? একটি ছবি বানাতে যে টাকা খরচ হয় তা ওঠানোর জন্য কি সিনেমাহল আছে? তাহলে ছবি বানাতে কে এগিয়ে আসবে? মূলকথা, সবাইকে সচেতন ও যত্ন নিয়ে কাজ করতে হবে। সিনেমাহলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। যে সিনেমাহল আছে সেগুলোর পরিবেশ ঠিক করতে হবে।

সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি সত্যিই ঘুরে দাঁড়াবে বলে কি আপনি মনে করেন? করলেও সেটা কত সময় পর?

অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে। এখন যে অবস্থা সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে। যত্নসহকারে কাজ করলে ৫-৬ বছরের মধ্যে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে সে কাজ এখন থেকেই শুরু করতে হবে।

কিছুদিন আগেই প্রযোজক সমিতির নির্বাচন হয়ে গেল। এরপর প্রযোজক সমিতির কোনো কার্যক্রম কি গত দুমাসের মধ্যে পেয়েছেন?

দু-এক মাসে তো বোঝা যাবে না। সবাই চেষ্টা করছেন ঘুরে দাঁড়াতে। আরও সময় যাক। তখন সবাই জানতে পারবেন কেমন কাজ হচ্ছে বা হয়েছে।

অনেকে বলে থাকেন, সিনেমাশিল্পে কালো টাকা ব্যবহার হয়। এটা কি আপনি বিশ্বাস করেন?

আসলে এটি বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের কিছু নয়। আমাদের কাজ অভিনয় করা। অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত থাকি। কে, কোথা থেকে টাকা আনেন তার খবর তো আমরা রাখি না। হয়তো কেউ কেউ কালো টাকা ব্যবহার করছেন। তবে এটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, সব দেশেই নজির রয়েছে।

এখন যারা প্রযোজক হয়ে আসছেন, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে অপরাধজনিত অভিযোগও রয়েছে। যেমন, জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ, শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান, দেশবাংলা মাল্টিমিডিয়ার আরমানসহ আরও অনেকে। তাদের আবার সিনেমার লোকজন পূজনীয় করেও তুলছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

প্রথমত ইন্ডাস্ট্রিতে যে কেউ কাজ করতে পারেন। কিন্তু তার অতীত ঘেঁটে দেখা তো শিল্পীদের কাজ নয়। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা তো এ জগতে এসে অপরাধ করেননি। তবে যারা অপরাধী তাদের থেকে সচেতন থাকা ভালো। আরেকটা বিষয়, অভিযুক্তরা তো আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এসে অপরাধ করছেন না বা কাউকে বাধ্য করছেন না। তবে শিল্পীদের জন্য বলতে চাই, তারা যেন কাজের ক্ষেত্রে সচেতন থাকেন।

এখন ক্রমেই সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে সম্মানবোধের জায়গাটা কমে যাচ্ছে। অনেকের বক্তব্য কিংবা সাক্ষাৎকার দেখে তা বোঝা যায়। এ নিয়ে কী বলবেন?

আমি আমার কথা বলি। আমার সিনিয়র যারা আছেন তাদের প্রতি আমার সম্মানপ্রদর্শন এখনও একই। আসলে একজনের প্রতি আরেকজনের সম্মানবোধ থাকতে হবে। বড়কে শ্রদ্ধা ও ছোটকে স্নেহ করা তো কঠিন কাজ নয়। এটা অনেকেই বুঝতে চান না। একজন শিল্পীর এসব বিষয়গুলো সতর্কতা এবং যত্নসহকারে বোঝা উচিত।

ক্যারিয়ারের এ সময়ে এসে নিজের কাজের মূল্যায়ন করবেন কীভাবে?

শিখেই যাচ্ছি। শেখার কোনো শেষ নেই। কাজ করছি। আগামীতেও কাজ করব।

আগামীর পরিকল্পনা কী?

আরও কিছু কাজ করব। ভালো ভালো কাজ।

প্রকাশক: মোসাম্মাৎ মনোয়ারা বেগম। সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: ইঞ্জিনিয়ার জিহাদ রানা। সম্পাদক : শামিম আহমেদ যুগ্ন-সম্পাদক : মো:মনিরুজ্জামান। প্রধান উপদেষ্টা: মোসাম্মৎ তাহমিনা খান বার্তা সম্পাদক : মো: শহিদুল ইসলাম ।
প্রধান কার্যালয় : রশিদ প্লাজা,৪র্থ তলা,সদর রোড,বরিশাল।
সম্পাদক: 01711970223 বার্তা বিভাগ: 01764- 631157
ইমেল: sohelahamed2447@gmail.com
  কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে বরিশাল, ৭ জনের প্রাণহানি   ইপিজেড শিল্পাঞ্চলের আয়োজন, শতাধিক পরিবারে ঈদ সামগ্রী বিতরণ   কমতে পারে ছুটি, শনিবারও স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত   লাইমলাইট গ্রামার স্কুলে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন   ঈশ্বরদীতে ২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ   আমেরিকায় জাহাজের ধাক্কায় ধসে পড়ল সেতু, বহু হতাহতের শঙ্কা   ইপিজেড স্মার্ট শিল্পাঞ্চল, চট্টগ্রাম এর স্বাধীনতা দিবসের আলোচানা সভা অনুষ্ঠিত   হালিশহর মডেল স্কুলে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত   অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, চোখের সামনে অঙ্গার হলো তরতাজা প্রাণ   বরিশাল বিভাগীয় সমিতি, চট্টগ্রাম-এর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত   অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে বরিশাল বিভাগীয় সমিতিঃ জাকির হোসেন   হালিশহর মডেল স্কুলের নতুন সভাপতি মোহাম্মাদ হোসেন, আশরাফ আলী সম্পাদক নির্বাচিত   বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতির মৃত্যুতে বরিশাল বিভাগীয় সমিতি, চট্টগ্রাম এর শোক প্রকাশ   কাজী বাবুল আর নেই, শোকে স্তব্ধ বরিশালের মিডিয়া অঙ্গন   জীবনকে বদলে দেওয়া এক গুণী মানুষকে যেভাবে হাড়িয়ে ফেললাম   যুগান্তর পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো রিপোর্টার হলেন সাংবাদিক এস এন পলাশ   কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে ঘিরে বরিশাল বিভাগীয় সমিতি‘র (ইপিজেড শিল্পাঞ্চল) এর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত   বরিশালের মামুনের সফলতা হতে পারে অনেকের অনুপ্রেরণাঃ তাপস   ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত   নিউমুরিং এর মরহুম আবদুস সবুর সওঃ এবাদত খানার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত