নবীগঞ্জে তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ,হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন
ইকবাল হোসেন তালুকদার,নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নবীগঞ্জে প্রচন্ড শীতে ও ঘন কুয়াশায় নাকাল হয়ে পড়ছে জনজীবন।হাড় কাঁপানো শীতে বাতাস ও তীব্র ঘন কুয়াশার কারনে গত ক’দিন ধরে মানুষের জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে সীমাহীন দুর্ভোগ।ঘন কুয়াশার কারনে গ্রামীণ ও মহাসড়কে যানবান চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে।
ভোর রাত থেকে দিনের ৯ থেকে ১০টা পর্যন্ত দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন মালবাহী যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। শীতকষ্ট নিবারনে খড়কুটা জ্বালিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান,গত ক’দিন ধরে এখানে একটু বেশি মাত্রায় শীত নেমেছে। মাঝে মধ্যে সূর্যের দেখা মিললেও দিনের বেশিরভাগ সময় তীব্র বাতাস ও কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারদিক। ঘন কুয়াশার সাথে বয়ে চলা হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা একটু বেশিই অনুভূত হচ্ছে। প্রচন্ড শৈত্যপ্রবাহের কারণে এখানকার সাধারণ কর্মজীবি মানুষ থেকে শুরু করে কারো সময়ই এখন ভাল যাচ্ছে না।বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না।
এমনকি হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কারনে নবজাতক শিশু থেকে শুরু করে প্রায় সব বয়সের লোকদের শীতজনিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে।তবে এদেরমধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। প্রত্যহ শীতজনিত রোগ নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, এজমা, এলার্জীসহ নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে লোকজন বিভিন্ন হাসপাতাল,উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ফার্মেসীতে ভীড় করছেন।
নবীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার হতদরিদ্র আম-জনতা আসন্ন মাঘের শীতে কাপছে।শীতের তীব্র প্রকোপে কাবু হয়ে তাদের দিন কাটছে অসহায়ত্ব অন দীর্ঘ নিঃশ্বাসে। গ্রামীণ জনপদের হতদরিদ্র আম-জনতা শীত নিবারনের একমাত্র অবলম্বন বলতে ধানের খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপে কিছু সময় শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,হাড় কাঁপানো এ শীতে শীতকষ্ট লাঘবে সরকারীভাবে এখন পর্যন্ত বড় রকমের কোনো ভূমিকা রাখা হয়নি। আসন্ন মাঘের অসহনীয় এ শীতে সরকারি ও বেসরকারীভাবে ব্যাপকহারে শীতবস্ত্র বিতরণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।