ভোলায় ক্রমেই বিলুপ্ত হচ্ছে বেতগাছ! - দৈনিক বরিশাল ২৪ দৈনিক বরিশাল ২৪ভোলায় ক্রমেই বিলুপ্ত হচ্ছে বেতগাছ! - দৈনিক বরিশাল ২৪

প্রকাশিতঃ জানুয়ারি ২৩, ২০২০ ৩:৩৬ অপরাহ্ণ
A- A A+ Print

ভোলায় ক্রমেই বিলুপ্ত হচ্ছে বেতগাছ!

এ,কে এম গিয়াসউদ্দিন [ভোলা]: ভোলায় বেথুন /বেত গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে বেতগাছ। লতাপাতা আর সবুজ শ্যামলে ভরপুর ছিল এই জেলার গ্রাম-বাংলার পথঘাট প্রান্তর ও লোকালয় কিন্তু সেই সৌন্দর্য এখন হুমকির মুখে। আগে জেলার গ্রাম্যঅঞ্চলে অনেক দেশি গাছগাছালি পাওয়া যেত কিন্তু এখন অনেক গাছগাছালি বিলুপ্তির পথে। এর মধ্যে অন্যতম বেতগাছ।

এখন আর আগের মতো গ্রামে-গঞ্জে দেখা যায় না। তবে এই বেত গাছ বহু নামে পরিচিত যেমন- বেত গাছ, বেথুনগাছ, বেতগুটি ও বেত্তুইন নামে পরিচিত। সাধারণভাবে বেতগাছ নামে চেনে, এই বেত গাছ বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারত, জাভা অঞ্চলের উদ্ভিদ বেতগাছ। ক্রান্তীয় উপক্রান্তীয় ভেজা ও জলা নিচু ভূমিতে ভাল জন্মে।

গ্রাম বাংলার নৈসর্গিক শোভা বিস্তারে এ গাছের জুড়ি নেই। এখন আর আগের মত বেতগাছ দেখা মেলে না। গ্রাম বাংলার বাড়ির আনাচে কানাচে রাস্তার পাশে বা পতিত জমিতে ও লতা পাতা জঙ্গলের মধ্যে ছিল চির সবুজ এই উদ্ভিদটি। বেতগাছ ৪৫ থেকে ৫৫ ফুট এবং কখনো কখনো তার চেয়ে বেশি লম্বা হয়ে থাকে। বেতগাছে ফুল হয় পরে ফল হয়।

ফলটি পাকলে দেখতে ঘিয়ে রং মত, খেতে খুব মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল। দুই থেকে তিন দশক আগেও আমাদের দেশে গ্রাম বাংলার বন জঙ্গলে ধারে নানা ধরনের বেতগাছ দেখা যেত। আর এখন এ গাছটি এখন দুর্লভ বস্তুতে পরিণত হয়েছে।

বর্তমান বাজার হাটে বা মেলায় শুকনা বেত দেখা যায় না। শুকনা বেত দিয়ে চেয়ার, টেবিল, মোড়া, ধামা, পালি, ডালা, দোলনা, র‌্যাক, সোফা, ফুলদানীসহ বহু রকমের আসবাবপত্র তৈরি হতো। বর্তমান গ্রাম অঞ্চলে এখন আর এ গাছ দেখা যায় না। বিভিন্ন বেতের আসবাবপত্র ঘর সাজানো, দৃষ্টিনন্দন টেকসই ও মূল্যবান যে কারণে বেতের কদর এখনো সকলের কাছে সমাদৃত। ঐতিহ্যবাহী বেত শিল্পকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।

এদিকে, বেতের জায়গা দখল করে নিয়েছে লোহার ফ্রেম করে প্লাস্টিকের বেত তৈরি করে আসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে এমনকি লোহা স্টিল, কাঠ পার্টেক্স বোর্ড আরো অনেক রকমের আসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে। এখন একপ্রকার এই ঐতিহ্যবাহী বেতগাছ আমাদের মাঝ থেকে বিলুপ্তি হয়ে গেছে বলা যায়।

দৈনিক বরিশাল ২৪

ভোলায় ক্রমেই বিলুপ্ত হচ্ছে বেতগাছ!

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২০ ৩:৩৬ অপরাহ্ণ

এ,কে এম গিয়াসউদ্দিন [ভোলা]: ভোলায় বেথুন /বেত গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে বেতগাছ। লতাপাতা আর সবুজ শ্যামলে ভরপুর ছিল এই জেলার গ্রাম-বাংলার পথঘাট প্রান্তর ও লোকালয় কিন্তু সেই সৌন্দর্য এখন হুমকির মুখে। আগে জেলার গ্রাম্যঅঞ্চলে অনেক দেশি গাছগাছালি পাওয়া যেত কিন্তু এখন অনেক গাছগাছালি বিলুপ্তির পথে। এর মধ্যে অন্যতম বেতগাছ।

এখন আর আগের মতো গ্রামে-গঞ্জে দেখা যায় না। তবে এই বেত গাছ বহু নামে পরিচিত যেমন- বেত গাছ, বেথুনগাছ, বেতগুটি ও বেত্তুইন নামে পরিচিত। সাধারণভাবে বেতগাছ নামে চেনে, এই বেত গাছ বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারত, জাভা অঞ্চলের উদ্ভিদ বেতগাছ। ক্রান্তীয় উপক্রান্তীয় ভেজা ও জলা নিচু ভূমিতে ভাল জন্মে।

গ্রাম বাংলার নৈসর্গিক শোভা বিস্তারে এ গাছের জুড়ি নেই। এখন আর আগের মত বেতগাছ দেখা মেলে না। গ্রাম বাংলার বাড়ির আনাচে কানাচে রাস্তার পাশে বা পতিত জমিতে ও লতা পাতা জঙ্গলের মধ্যে ছিল চির সবুজ এই উদ্ভিদটি। বেতগাছ ৪৫ থেকে ৫৫ ফুট এবং কখনো কখনো তার চেয়ে বেশি লম্বা হয়ে থাকে। বেতগাছে ফুল হয় পরে ফল হয়।

ফলটি পাকলে দেখতে ঘিয়ে রং মত, খেতে খুব মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল। দুই থেকে তিন দশক আগেও আমাদের দেশে গ্রাম বাংলার বন জঙ্গলে ধারে নানা ধরনের বেতগাছ দেখা যেত। আর এখন এ গাছটি এখন দুর্লভ বস্তুতে পরিণত হয়েছে।

বর্তমান বাজার হাটে বা মেলায় শুকনা বেত দেখা যায় না। শুকনা বেত দিয়ে চেয়ার, টেবিল, মোড়া, ধামা, পালি, ডালা, দোলনা, র‌্যাক, সোফা, ফুলদানীসহ বহু রকমের আসবাবপত্র তৈরি হতো। বর্তমান গ্রাম অঞ্চলে এখন আর এ গাছ দেখা যায় না। বিভিন্ন বেতের আসবাবপত্র ঘর সাজানো, দৃষ্টিনন্দন টেকসই ও মূল্যবান যে কারণে বেতের কদর এখনো সকলের কাছে সমাদৃত। ঐতিহ্যবাহী বেত শিল্পকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।

এদিকে, বেতের জায়গা দখল করে নিয়েছে লোহার ফ্রেম করে প্লাস্টিকের বেত তৈরি করে আসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে এমনকি লোহা স্টিল, কাঠ পার্টেক্স বোর্ড আরো অনেক রকমের আসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে। এখন একপ্রকার এই ঐতিহ্যবাহী বেতগাছ আমাদের মাঝ থেকে বিলুপ্তি হয়ে গেছে বলা যায়।

প্রকাশক: মোসাম্মাৎ মনোয়ারা বেগম। সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: ইঞ্জিনিয়ার জিহাদ রানা। সম্পাদক : শামিম আহমেদ যুগ্ন-সম্পাদক : মো:মনিরুজ্জামান। প্রধান উপদেষ্টা: মোসাম্মৎ তাহমিনা খান বার্তা সম্পাদক : মো: শহিদুল ইসলাম ।
প্রধান কার্যালয় : রশিদ প্লাজা,৪র্থ তলা,সদর রোড,বরিশাল।
সম্পাদক: 01711970223 বার্তা বিভাগ: 01764- 631157
ইমেল: sohelahamed2447@gmail.com
  কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে বরিশাল, ৭ জনের প্রাণহানি   ইপিজেড শিল্পাঞ্চলের আয়োজন, শতাধিক পরিবারে ঈদ সামগ্রী বিতরণ   কমতে পারে ছুটি, শনিবারও স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত   লাইমলাইট গ্রামার স্কুলে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন   ঈশ্বরদীতে ২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ   আমেরিকায় জাহাজের ধাক্কায় ধসে পড়ল সেতু, বহু হতাহতের শঙ্কা   ইপিজেড স্মার্ট শিল্পাঞ্চল, চট্টগ্রাম এর স্বাধীনতা দিবসের আলোচানা সভা অনুষ্ঠিত   হালিশহর মডেল স্কুলে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত   অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, চোখের সামনে অঙ্গার হলো তরতাজা প্রাণ   বরিশাল বিভাগীয় সমিতি, চট্টগ্রাম-এর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত   অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে বরিশাল বিভাগীয় সমিতিঃ জাকির হোসেন   হালিশহর মডেল স্কুলের নতুন সভাপতি মোহাম্মাদ হোসেন, আশরাফ আলী সম্পাদক নির্বাচিত   বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতির মৃত্যুতে বরিশাল বিভাগীয় সমিতি, চট্টগ্রাম এর শোক প্রকাশ   কাজী বাবুল আর নেই, শোকে স্তব্ধ বরিশালের মিডিয়া অঙ্গন   জীবনকে বদলে দেওয়া এক গুণী মানুষকে যেভাবে হাড়িয়ে ফেললাম   যুগান্তর পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো রিপোর্টার হলেন সাংবাদিক এস এন পলাশ   কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে ঘিরে বরিশাল বিভাগীয় সমিতি‘র (ইপিজেড শিল্পাঞ্চল) এর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত   বরিশালের মামুনের সফলতা হতে পারে অনেকের অনুপ্রেরণাঃ তাপস   ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত   নিউমুরিং এর মরহুম আবদুস সবুর সওঃ এবাদত খানার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত