করোনা: বাংলাদেশেকে সুখবর দিলো চীন
অনলাইন নিউজঃ সারাবিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েই যাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনভাইরাস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এর দাপট বেড়েই চলেছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে দেশটির সর্বোস্তরের মানুষ। তবে আতঙ্কের মাঝেই বাংলাদেশিদের সুখবর দিল চীনা বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে তারা দাবি করেন, করোনাভাইরাস বিস্তার রোধ করে উচ্চ তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতা। এক গবেষণায় বলা হয়, ভাইরাস কবলিত এলাকাগুলোর তাপমাত্রা এখন আছে পাঁচ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
চীনের ওই গবেষক দলটি এই বছরের জানুয়ারি মাসের ২১ থেকে ২৩ তারিখের তাপমাত্রা নিয়ে গবেষণা করেছেন। চীনের ১০০টি শহরের তাপমাত্রা তারা রেকর্ড করেছেন ও ৪০টিরও বেশি বাহক নিয়ে কাজ করেছেন।
তাদের দাবি, উচ্চ তাপমাত্রা ও উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা করোনার সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। মাত্র এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও এক শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতা বৃদ্ধি হলে ভাইরাসটির সংক্রমণ যথেষ্ট পরিমাণে কমে যায়।
তাদের মতে, কম তাপমাত্রায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বেশি। চীন, কোরিয়া, জাপান ও ইরানের মতো কম তাপমাত্রা বিরাজ করা দেশগুলো করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি ছিল। কিন্তু বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করা দেশগুলো; যেমন, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর কম ঝুঁকির মধ্যে।
গবেষণাপত্রের লেখকরা জানিয়েছেন, উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমের আগমনে করোনার সংক্রমণ হ্রাস পেতে পারে। তবে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় এই মারণ ভাইরাসের কালো থাবার ঝুঁকি দক্ষিণ গোলার্ধের বেশ কিছু দেশে থাকবে।
এবার চীনা গবেষণায় বলা হচ্ছে, উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমের সময় করোনা ঝুঁকি কমে যাবে। উত্তর গোলার্ধ বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে। তবে এশিয়া মহাদেশের পূর্ব তিমুর, ইন্দোনেশিয়া ও মালদ্বীপ রয়েছে এই দক্ষিণ গোলার্ধে। আর এশিয়ার বাকি দেশগুলোর অবস্থান উত্তর গোলার্ধে।
উইকিপিডিয়া বলছে, বাংলাদেশের অবস্থান উত্তর গোলার্ধে। আর এই গোলার্ধে গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমে কমে যাবে করোনার ঝুঁকি। চীনা গবেষকদের মতে, এই গোলার্ধ করোনার ভয়াল থাবা থেকে মুক্তি পেতে পারে। তাই সেই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশে করোনার ঝুঁকিটা কিছুটা হলেও কম! তবে সময়ই হয়তো বলে দেবে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে।