ভারতের অসহযোগীতায় বেনাপোলে বন্ধ রয়েছে আমদানি
ফারুক হাসান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ ভারতের অসহযোগীতার কারনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বন্ধ রয়েছেনিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের আমদানি। বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশ ও ভারতে চলছে লকডাউন। ফলেআমদানি রফতানি কাযর্ক্রম বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দর এলাকারমানুষের জীবনযাত্রা হয়ে পড়েছে স্থবির।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঘাটতিমোকাবেলায় স্বল্প পরিসরে বেনাপোল বন্দর চালু রাখার নির্দেশ দেয়।যাতে ভারত থেকে পচনশীল পণ্য সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বাধা গ্রস্ত না হয়।কিন্তু ভারতজুড়ে ৩০ এপ্রিল পর্য্যন্ত লক ডাউন থাকায় বেনাপোলেরওপারে ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস এলাকা প্রায় জনশুন্য। ফলে এমুহুর্তে ভারত- বাংলাদেশে দু’দেশের মধ্যে কোন ধরনেরকাঁচামালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল আমদানি-রফতানি করাসম্ভব হচ্ছে না।
ফলে বাংলাদেশ সরকারের বেনাপোল বন্দর স্বল্প পরিসরেখুলে রাখার নির্দেশনা থাকলেও ভারতের প্রেটাপোল কাস্টমসেরঅহযোগীতার কারনে বন্ধ রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল।বেনাপোলের কাঁচামালের আমদানি কারক রবিউল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজ, আদা, রসুন,শুকনা মরিচ, মাছ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যসবচেয়ে কম সময়ে ভারত থেকে আমদানি করা যায়। দেশেরসংকটকালে ভারত পুরোপুরি লকডাউনে থাকায় ভারত থেকে এইজাতীয় পন্য আমদানি করা যাচ্ছে না।
উক্ত পন্যের আমদানি ও সরবরাহনিশ্চিত করা গেলে বাজার পরিস্থিতি সাধারন মানুষের অনুকুলে থাকতো। বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার নেয়ামুল ইসলামবলেন, সরকারের নির্দেশনায় তাঁরা হাউজে অবস্থান করছেন। পন্যআমদানির ব্যাপারে ভারতীয় কাস্টমস ও বন্দরের লোকজনের মনোভাব নমনীয় থাকলেও দেশব্যাপী লকডাউনের কারনে সম্ভব হচ্ছেনা।তবে কাস্টমস নমনীয় থাকলেও বিএসএফের কারনে আমদানি রফতানিসম্পুর্ন বন্ধ রয়েছে বলে মনে করেন, বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান।