মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুমনের সেচ্ছা শ্রমের দৃষ্টান্ত স্থাপন
মোঃ ইবাদুর রহমান জাকির, সিলেট প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার আফজালাবাদ ইউনিয়নে বাগইন গ্রামের গর্বিত পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মৌরশ আলীর সন্তান সুমন।
দেশের জনপ্রতিনিধিরা যেতায় জনগণের সেবা করার ওয়াদা করে ভোটের পর সব ভুলে যান, আবার ভোটের আগে জনগণের বন্ধু হবার অভিনয় করেন,এভাবেই চক্রাকারে তা চলতে থাকে।
কিন্তু সুমন ভোটের জন্য নয়, নিজের বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকে বিনা পারিশ্রমিকে রাস্তা নির্মাণ করে প্রতিনিয়ত ছাতক ও বিশ্বনাথ উপজেলার পথে প্রান্তরে সে স্বেচ্ছায় শ্রমদিযে মেরামত করছেন ভিন্ন ভাঙ্গা রাস্তায় মাটি ভরাট করে আসছে দীর্ঘ দিন থেকে।
পূর্ব বাগইন গ্রামের রাস্তা,গোবিন্দগঞ্জ সাদা পুলের মুখ হইতে বুরাইয়াবাজারের রাস্তা, বসন্তপুর, বানারশিপুর ,ছৈলা, কহল্ল, বাউভোগলী বড়চাল,খলাগাঁও,পলিরগাঁও,সরিষা পুর,গ্রামসহ ছাতক উপজেলার অসংখ্য গ্রামীণ কাঁচা-পাকা রাস্তায় মাটি ভরাট করছে,সুমনের একান্ত সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে এবং এ দেশের সচেতন নাগরিক আমি আমার কর্তব্য পালন করছি ও ইবাদত মনে করে রাসূল (সাঃ) বলেছেন যে ব্যাক্তি রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তুু দূরকরবে তাহার ঈমান বৃদ্ধিপাবে।
তিনি আরো বলেন রাস্তার কাজ করবো যতো দিন বেঁচে থাকবো সুস্থ অবস্থায়,ছাত্র ছাত্রী, মসজিদের মুসুল্লীরা যাতে চলাফেরা করতে পারে আরামে এই আমার ক্ষুদ প্রচেষ্টা। চেয়ারম্যান মেম্বারগণ রাস্তার কাজ করেন সরকারী টাকা দিয়ে আমি কাজ করি নিজের শ্রমদিয়ে,মানুষ হয়ে দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই আমার শ্রম দিয়ে, আমার পুঁজি হচ্ছে শ্রম।
আমাদের প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাৎকার কালে সুমন বলেন আমার নিত্যদিনের কাজ হলো সকাল বেলা কুদাল নষ্ট থাকলে ঠিক করা,উড়ি মেরামত করা,সকালের খাবার খাওয়ার পর ভাঙ্গা রাস্তায় গিয়ে মেরামত করা।আমাকে অনেকে পাগল বলে।আমার কাছে একটি পংতি মনেপড়ে হাসন রাজার লোক বলেরে বলে ঘর বাড়ি ভালো না আমার কী ঘর বান্দিয়াছি আমি শূণ্যেরই মাঝার লোকে বলেরে।
আমি প্রায় চার বছর ধরে রাস্তা মেরামত করছি বিনা পরিশ্রমে দেখে সাংবাদিক ভাইয়েরা রিপোর্ট করায় এখন আমার বাবার মুক্তি ভাতা পাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করিয়েন মানবসেবা যেন করতে পারি।