বেনাপোলে ৫বছরের চুক্তিতে নিয়োগ কাজ করছে ১৪ বছর
বেনাপোল প্রতিনিধি: দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে অধিকাংশ ক্রেন ও ফর্কলিফট অকেজো থাকায় মালামাল ওঠা নামা ও ডেলিভারি করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে বনদরে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ পণ্যজট।বিরাজমান জটিলতা সামাধান না হলে যে কোন সময় বন্ধ হতে পারে দু দেশের আমদানিরফতানি বানিজ্য।
তবে বেনাপোল স্থল বন্দরে ফর্কলিফট ও ক্রেন সরবারহকারী ঠিকাদারীপ্রতিষ্টান সিস লজিস্টিক্যাল সিস্টেম লিমিটেড বলছে ভিন্ন কথা।
৫ বছরের চুক্তিতে ১৪বছর ধরে কাজ চলছে বন্দরে, বাড়েনি চুক্তি মুল্য, পরিশোধ করেনি কোম্পনীর পাওনা টাকা।বন্দর সুত্রে জানাগেছে, বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে ২৫ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ফর্কলিফটরয়েছে একটি ও পাঁচ টনের ফর্কলিফট রয়েছে পাঁচটি। এর মধ্যে ৪ টি দীর্ঘদিন ধরেঅচল। ৪০ টন, ৩৫ টন ও ১৯ টনের ক্রেন আছে একটি করে, আর ১০ টনের ক্রেন আছে দুইটি।
এসব ক্রেনের মধ্যে ৫ টি তাকে অধিকাংশ সময় অকেজো। বর্তমানে সবচেয়ে বড় ২৫টনের ফর্কলিফটি অকেজো থাকায় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটছে মালামাল লোড-আনলোডে।বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, বন্দরের গুদামে জায়গার অভাবে ওখান থেকে পণ্য বের করার পর নতুনপণ্য ঢোকানো হচ্ছে।
খালাসের অভাবে পণ্যবোঝাই ট্রাক বন্দরের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকছেদিনের পর দিন। ট্রাক থেকে পণ্য নামানোর অনুমতি মিললেও ক্রেন বা ফর্কলিফট মিলছে না।ফলে জায়গা ও ক্রেন সংকটে বিপাকে পড়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বারবার তাগাদা দেওয়ার পরওঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সাড়া দিচ্ছে না।
বিষয়টি জানিয়ে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষেরকাছে একটি চিঠি দিয়েছি। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হবে।ফর্কলিফট ও ক্রেন সরবারহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্টান সিস লজিস্টিক্যাল সিস্টেম লিমিটেডের বেনাপোলের ম্যানেজার ফখরুল ইসলাম জানান,২০০৬ সালে আমাদের প্রতিষ্টানবন্দরের পন্য ওঠানো ও নামানোর জন্য বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে ৫ বছরের চুক্তিকরে।
পরবর্তীতে বন্দর কর্তৃপক্ষ আর চুক্তি নবায়ন করেনি।আমাদের কোম্পানীর দেনা পাওনাপরিশোধ করেনি।আমরা অনেকটা বাধ্য হয়ে গত ১৪ বছর ধরে পুরাতন চুক্তিতে বন্দরেরকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।১৪ বছর আগের চুক্তিতে বর্তমানে বন্দরের কার্যক্রম চালানোসম্ভব না।
আমাদের দেনা পাওনা পরিশোধ করা হলে আমরা বন্দরের কার্যক্রম গুটিয়ে নেব।ব্যবসায়ীদের এসব অভিযোগের কথা স্বীকার করে বেনাপোল স্থলবন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টরমামুন তরফদার জানান, বর্তমানে প্রচুর পরিমান মালামাল আসছে ভারতে থেকে। সে জন্যজায়গার কিছুটা সমস্যা হচেছ। তবে বন্দরে ক্রেন ফরকলিপট এর সমস্যা আছে। আইনীজটিলতার কারনে সমস্যাগুলো হচেছ ,অচিরেই সম ধরনের সম্যসা সমাধান করা হবে।