বরিশালে ১০ দিনে ৫৯২ জেলের কারাদন্ড
শামীম আহমেদ: ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে প্রজনন মৌসুমের সাথে সমন্বয় করে গত ৯ অক্টোবর
থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর ২২ দিন ইলিশ ধরা, কেনাবেচা, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাতকরণে
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য বিভাগ। এজন্য গত ৯ অক্টোবর থেকে বরিশালের সব এলাকায়
অভিযান শুরু করেছে মৎস্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্টগার্ড এবং নৌ-
বাহিনীর সদস্যরা।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর থেকে শুরু করে
এই ১০ দিনে বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় এক হাজার ২১২টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
পাশাপাশি ৫৮১টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমের মাধ্যমে ৬৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযানে আটকদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা এবং ৫৯২
জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উদ্ধার করা হয়েছে ৩৪ লাখ
মিটারেরও বেশি জাল ও প্রায় ১০ মেট্রিকটন ইলিশ।
মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আজিজুল হক বলেন, ইলিশের উপর নির্ভরশীল
জেলেদের এসময় ২০ কেজি করে চাল খাদ্য সহায়তা হিসাবে দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও
প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তারপরেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কতিপয় অসাধু ব্যক্তির মদদে অধিক
মুনাফালোভী কিছু জেলে মাছ শিকার করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও দুই বছর কারাদন্ড
দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বরিশাল জেলায় ৪৩ হাজার ৬৪৪ জন জেলেকে ও বিভাগে ২ লাখ ২৭
হাজার ৯৪৩ জন জেলেকে ২০ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়া হবে।