স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও মিরসরাইয়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল
অনলাইন নিউজঃ ক্রমান্বত উন্নয়নে দেশের চেহারা বদলে গেলেও স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও একটি ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মিরসরাইয়ের কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এতো বছর নিজেদের তৈরি সাঁেকা দিয়ে চলাচল করলেও গত কিছুদিন পূর্বে সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় দুর্ভোগ আরো প্রকট হয়েছে।
এতে করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে যাতায়াত করছে। একটু সেতু বদলে দিতে পারে এখানকার মানুষের জীবন যাত্রার মান। মিরসরাই উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়ন ১৩ নং মায়ানী ও ১৬ নং সাহেরখালী ইউনিয়নের লোকজন এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে।
উপকূলীয় সাহেরখালী এলাকায় অবস্থিত এই সাঁকোর উপর দিয়েই সাহেরখালী পয়েন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মৎস,কাঁকড়া, উপকূলীয় বন থেকে আহরিত জ্বালানী ও ধান, শাক-সবজি সহ বিভিন্ন কৃষিপন্য প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যায়।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী সাহেরখালী খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ করার। উপজেলার ১৩নং মায়ানী ইউনিয়নের আনন্দ বাজার সংলগ্ন সাহেরখালী সুইগেইটে যাওয়ার একমাত্র পথ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন এলে জনপ্রতিনিধিরা ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও নির্বাচন বৈতরণী পার হয়ে গেলে কেউ আর খবর রাখেনা।
এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম, নুর উদ্দিন জানান, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে সব জায়গায়। কিন্তু আমাদের এখানে একটি ব্রীজ জন্য আর কতকাল অপেক্ষা করতে হবে বুঝতে পারছিনা। এই সাঁকো দিয়ে দৈনিক ৪-৫ হাজার মানুষ চলাচল করে।
বঙ্গপোসাগর থেকে আহরন করা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সাহেরখালী স্লইসগেইট থেকে এই সাঁকো দিয়ে নেয়া হয়। বিশেষ করে ইলিশ মৌসুমে লাখ লাখ টাকার মাছ সরবরাহ করা হয়। এছাড়া ধান, শাক, সবজি সহ বিভিন্ন ফসল বাজারে নিতে ৪-৫ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প সড়ক দিয়ে। এতে করে আমাদের অনেক বেশি খরচ পড়ে। একটি ব্রীজ নির্মিত হলে এখানে বসবাসরত মানুষ্যের ভাগ্যের আমুল পরিবর্তন ঘটবে।
সাঁকো দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করা ক্ষুদিরাম জলদাশ, সম্ভু জলদাশ জানান, সাঁকোটির দুই পারের মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে পারাপার হতে হয়। বর্ষাকালে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়। বর্তমানে সাঁকোটি একবারে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে গেছে। ছোট দুটি বোট দিয়ে চলাচল করতে হয়।
এই বিষয়ে ১৩নং মায়ানী ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান কবির আহম্মদ নিজামী বলেন সাহেরখালী খালের উপর বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে একটি ব্রীজ নির্মান এলাকাবাসী প্রাণের দাবী।
বর্তমানে সাঁকোটিও ভেঙ্গে গেছে। আমি ইউপি সদস্য ও জলদাস সর্দারকে দায়িত্ব দিয়েছি বর্তমানে সাঁকোটি মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য। ব্রীজ নির্মানের জন্য টেন্ডারের প্রক্রিয়াধিন আছে। আমরা আশা করছি খুবই শীঘ্রই এর বাস্তবায়ন হবে।