স্বাস্থ্য বিধি মানছেনা কেউ, ম্যাজিস্ট্রেট দেখে দোকান ফেলে পালালো ব্যবসায়ীরা
সোহেল আহেমদ, চট্টগ্রামঃ করোনা ভাইরাসের প্রকপ দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে প্রশাসনের নজড়দাড়ি। দিনরাত শত চেষ্টা করেও মানুষকে সচেতনতায় ভেড়াতে পারছেনা প্রশাসন। এ অবস্থায় অর্থনিতিকে সচল রাখতে সরকারিভাবে ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে কতগুলো শর্ত বেধে দেয়া হয়।
তবে স্বাস্থ বিধি সহ সরকারের সেসব শর্তগুলো মানছেনা ক্রেতা বিক্রেতারা। চট্টগ্রামেরর বোয়ালখালী উপজেলায় এসিল্যান্ড ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল করিম অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে দেখা যায় বেশিরভাগ দোকানে গাদাগাদি করে ক্রেতারা বসে আছেন, বিক্রেতাদের নাই মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লোভস। মার্কেট এর প্রবেশ পথে নাই কোনো ডিসইনফেকশন এর ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য বিধি না মানায় দন্ডবিধি ২৬৯ ধারায় শাকপুরা বাজারের আজমির ফ্যাশন হাউসকে ১০ হাজার টাকা, আরাফাত গার্মেন্টসকে ১ হাজার, ফজল করিমকে ২ হাজার টাকা, আছিফ গার্মেন্টসকে ১ হাজার টাকা, ফুলতল বাজার এর মোঃ শাকিলকে ৫ হাজার টাকা ও পারভেজকে ১ হাজার টাকা সহ মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান দেখে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ফেলে রেখে ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে এসিল্যান্ড এবং ওসি বলেন সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য বিধি না মেনে মার্কেট এ বিভিন্ন দোকানে বেচাকেনা চললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বোয়ালখালী উপজেলার সদরের বড় মার্কেট গুলির ব্যবসায়ী সমিতি ইতিপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। তবে তা অমান্য করে শাকপুরা চৌমুহনী বাজার ও ফুলতল বাজারের কাপড়ের দোকান সমূহ কোনো রকম ন্যূনতম স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই ব্যাবসা পরিচালনা করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
সম্পাদনায়: শামীম আহমেদ।