ফরিদপুরের ৬ টি ইউনিয়নের মাতৃসেবা এম্বুলেন্সগুলোর অবস্থা জনাকীর্ণ
মো: ইয়াছিন আলী শেখ ঈশ্বরদী পাবনা প্রতিনিধি : মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে চিকিৎসা অন্যতম। তাই জনগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এলজিএপি (প্রকল্প ২)- ২০১৫-১৬ এর আওতায় পাবনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তৎকালীন পাবনা জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো ফরিদপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে প্রসূতি মা ও শিশুদের অগ্রাধিকার দিয়ে এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করেন।
১৪৫.৪৭ বর্গ কিলােমিটার আয়তনের ফরিদপুর উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ১,৩৫,৪৯১ জন। বিশাল এ জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে এমন এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করায় প্রশংসিত হয়েছিলেন রেখা রানী বালো।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করার পর জনসাধারনের কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়েছিলো। কিন্তু সময়ের ব্যাবধানে এম্বুলেন্সগুলোর জনাকীর্ণ অবস্থার কারনে জনগনের দূর্ভোগ আবারো আগের স্থানেই ফিরে এসেছে। আবারো গর্ভবতী নারী ও শিশুদের হাসপাতালে নিতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এম্বুলেন্স গুলো এখন আর চলে না। অনেকদিন চলাচল না থাকায় চাকা ও ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের ডাস্টবিন হিসেবেও ব্যাবহার হচ্ছে, যেখানে রাখা হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী।
এম্বুলেন্স গুলোর এমন অবস্থার কথা জানতে চাইলে ফরিদপুরের পুংগলী ও হাদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান ও সেলিম রেজার জানান, “সে সময় জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে মাতৃসেবা তিনচাকা এম্বুলেন্স দিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকদিন বয়স হওয়ায় তা এখন অচল হয়ে পড়েছে। চাকাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমরা উপজেলার মাসিক সভায় আলোচনা করেছিলাম কিভাবে এটি আবার চালু করা যায়। কিন্তু তেমন কোনো সিদ্ধান্ত আসে নি।”
ফরিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন বলেন, এম্বুলেন্সটি এখন আর চলার অবস্থায় নেই।বর্তমান সময়ে আরও আধুনিক এম্বুলেন্স দরকার। সব ইউনিয়নে সম্ভব না হলেও সদর থেকে দূরর্বর্তী ইউনিয়নগুলোতে হলেও আধুনিক এম্বুলেন্স প্রয়োজন। তাতে জনগন সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে ফরিদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয় নি।
তবে জনসাধারণের দাবী তাদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে আবারো এই এম্বুলেন্সগুলো সচল করা হোক।